Skip to main content

জাগরণ


অভিমানী মানুষটা গাছটাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমি কই?
গাছ বলল, এই তো তুমি।
মানুষটা বলল, এই আমি না, এত বড় সংসারে এত কিছু ঘটে চলেছে, সেখানেই আমি কই?
গাছ বলল, তুমি কি চাও?
মানুষটা বলল, সবাই আমাকে চিনুক, নইলে আমি গলায় দড়ি দেব তোমার ডালে, নইলে তোমার বিষফল খাব।
একটা সাপ গাছের গুঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে উঠছিল, সে থেমে গিয়ে লোকটার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, বিষ চাই? মরবে?

নির্বাসিত প্রেম

নির্বাসিত প্রেম। সংসারের বাইরে সংসার। রাধার যেন আসতেই হত। সে যদি বলত, কৃষ্ণ, তুমি তোমার গৌর-নিতাই নিয়ে এগোও। বিশ্বে ধর্মপ্রচার করো, জগৎ উদ্ধার করো। আমার সেখানে কি কাজ বলো?

কুলটা

ফুলগাছটা কেনার সময় খেয়াল করেনি, ফুলটার রঙ, পাপড়ির বাহার শুধু চোখে পড়েছিল, কাঁটাগুলো খেয়াল করল বাড়িতে আনার পর।

অনুকম্পা

আমার সারা গায়ে চন্দনের গন্ধ।
গলায় তুলসীমালা। ঈশ্বরের জন্য সেজেছি।
গোপালের জন্য পাত্রভরা মাখন - নৈবেদ্য।

শূন্য আনন্দ ভালোবাসা

ভালোবাসার গায়ে একটা রঙীন চাদর জড়ানো থাকে। সেই চাদরটা হয় ঝড়ে উড়ে যায়, নয় পোকায় কাটে, কখনও বা আগুন লাগে।

সীমা

কোনো এক মুহূর্তে মানুষটা বুঝতে পারল, যে সমুদ্রটা দেখবে বলে সে এতটা পথ অক্লান্ত পাড়ি দিল, সে সমুদ্রেরও একটা সীমা আছে। 

মৃত্যু তোমায় বলছি

টিলাটার উপর কবে উঠেছিলাম মনে নেই। তবে তোমায় আরো কাছ থেকে দেখব বলে উঠেছিলাম এতদূর মনে আছে। এই নির্জনে নিজেকে নির্বাসিত করে রেখেছিলাম শুধু তোমায় আরো কাছ থেকে জানব বলে। হ্যাঁ মৃত্যু তোমাকেই বলছি।
...

আবার তো নামতে হবে

কেউ যেন খানিক পরেই উঠবে কন একটা ছাদে, বাড়ির সবার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর নিজে খেয়ে, ভিজে কাপড় মেলতে, কিম্বা শুকনো কাপড় তোলার আছিলায় কিছুক্ষণের জন্য একা হতে, নিজেকে খুঁজে পেতে...

নারী নাকি সমাজ?


মেয়েটার স্বামী ফুলশয্যায় মদ্যপ হয়ে এলো। গরীব হলে এমন হয়। সমাজ উদাসীন।
সংসারের জোয়াল মেয়েটার ঘাড়ে। স্বামী মাতাল, উদাসীন। পরিবার উদাসীন। পাড়া উদাসীন। সমাজ হাই তুলে সমাজোদ্ধারকদের সাথে ঘোরে, শিথিল পায়ে।

যাঃ

Subscribe to গদ্য কবিতা