Skip to main content

গল্প গল্প

মানুষটা সেই কিশোরবেলায় কাকে যেন ভালোবেসেছিল। কাকে সে আমি বলতে পারব না। তবে শুনেছি, সে নাকি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। অন্য কারোর সাথে ঘর বেঁধেছিল।

ঘোরানো সিঁড়ি

ঘোরানো সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। বাড়ির বাইরের উঠান থেকে সরাসরি চলে যাওয়া যায় দোতলায়, বাড়ির ভিতর দিয়ে না গিয়েও। প্রৌঢ়া বিধবা মহিলা দোতলায়, রাস্তার দিকের জানলার কাছে দাঁড়িয়ে। আজ দোল। রাস্তার অন্য ফুটে একটা গাড়ি সারানোর গ্যারেজ। সেখানে চলছে উত্তাল দোল খেলা।
...

দেওয়াল

বাড়িতে এক সময় মেঝেতে এই দিনটায় প্রচুর আবীর পড়ে থাকত এখানে সেখানে। তাতে পায়ের ছাপ যে কত! বাচ্চাদের পায়ের ছাপগুলোর উপরে পড়ছে বড়দের, কখনও বড়দের ছাপ মুছে আঁকা হচ্ছে বাচ্চাদের পায়ের ছাপ। সকালে একপ্রস্থ হয়ে গেলে সন্ধ্যেবেলা আরেক প্রস্থ। আবীর তখনও মোছা হয়নি। পরেরদিন ঝাঁট দিতে দিতে কোমর ব্যথা।
...

গল্প গল্প

উপেনবাবুর ডাক্তারী করতে যত না ভালো লাগে, তার চাইতে ঢের বেশি ভালো লাগে নিজেকে ডাক্তার ভাবতে। হাসনাবাদের থেকে আরো ভিতরের দিকে এগোলে এই কেতুগ্রাম। অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার বলতে এই উপেনবাবুই। বাবা ছিলেন কবিরাজ। বিশাল নামডাক।
...

ইঁট-পাটকেল

লোকটা চোখ বুজে হাঁটত। বাইরের পৃথিবীটার ওপর তার ভীষণ ঈর্ষা। বেশি হাঁটতও না। দক্ষিণে, পুবে ও পশ্চিমে দশ পা, দশ পা করে হাঁটত। উত্তরে একটা কিছুতে সে বাধা পেত, কিসে পেত সে বুঝত না...

নীল দেওয়াল

তখন অনেক রাত। কোণের প্রদীপটাও অন্ধকারের বুকে একা রেখে যাবে মনে হচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতা করবে - ওর আলো দেওয়ার কথা ছিল। অন্ধকারের জাল কেটে একটু বসার জায়গা বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

সাধন


গভীর রাত। গঙ্গার তীরে একলা সাধু। সংশয়ী দরজায়। সাধু বললেন, কি চাও?
- উত্তর
- সে তো দরজায় মেলে না। মেলে ভিতরে এলে।
- অন্ধকার যে।
- অপেক্ষা করো। বাইরের আলোর ধাঁধা কাটলে ভিতরের আলো দেখা যায়।

আঃ

ছেলেটার নাম ধরি, প্রত্যহ। সে ভালোবাসল, ধরি প্রাত্যহিকীকে। ধীরে ধীরে হৃদয়ের সব দিক দিল খুলে। প্রথমে খুলল, পূব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ। সে আরো এগোলো।
...

মায়া

দীঘির পাড়ে যে বড় বটগাছটা তার একটা ডালে শুয়ে আছে ভরত। ব্রহ্মদৈত্য। মধ্য আকাশে চাঁদ। বসন্তের বাতাস বইছে মৃদুমন্দ। একটা পেঁচা
Subscribe to অনুগল্প