Skip to main content

শিল্পীর নান্দনিকতা

ছোটোবেলায় ঠাকুমার সঙ্গে ভাগবতপাঠ শুনতে যেতাম। তো সেখানে একটা গপ্পো আমার খুব মনে ধরেছিল। কৃষ্ণ নাকি কখনও কারো দোষবর্ণন করতেন না। 

মুখোমুখি

অনেকবার তোমার আমার মুখোমুখি হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তুমি জানতে। মায়ের শেষের দিনগুলোতে, যখন আধশোয়া বিছানায়, চোখ বন্ধ, আমার হাতে ধরা স্যুপের বাটি, চামচ...

আয়ুষ্মান

আমরা দুজনেই ভেবলে গেছি তখন। কি দেখে? সে মনে নেই। এই যিনি আমার হাতের ঘেরের মধ্যে তিনি
আমার এক বোনের পুত্র, আয়ুষ্মান। ইনি বায়না করেন না, স্টেটমেন্ট দেন। যেমন, এখন আমি বাড়ি যাব...
এখন আমি ক্যাডবেরি খাব... এখন আমি মামুর কোলে যাব... ইত্যাদি ইত্যাদি।

জন্মদিন

এখন থেকে আর বাড়তি না, এবার কমতি। খালি খালি বয়েস বাড়িয়ে বাড়িয়ে শেষে বুড়ো হয়ে মরি আর কি! আমি যেন সুকুমার রায়ের পাঠাশালায় পড়িনি! সেই কবে আমাদের উনি শিখিয়ে গেছেন বয়েস বাড়তে দিলেই হল? তাই আমিও এই কমতির দিকে নামলুম। এখন থেকে আমার বয়েস নামবে ৪৪, ৪৩, ৪২... হুম। যতক্ষণ না এই এদের বয়সে পৌঁছাচ্ছি। মানে যাদের সঙ্গে আমার ছবিগুলো।

মামু

আমাকে সব চাইতে মজার বোকা বানিয়েছিল আমার ছোটো মামু। মানে কয়েকদিন আগে যার ভূতের সিনেমা পোস্ট করেছিলাম।

    আমি, সে আর আমার বোন পাশাপাশি শুয়েছি। আমরা এটা সেটা গল্প করছি, হঠাৎ ছোটো মামু, মানে অদ্রিজা বলল, মা ওই মিষ্টিটা অনেকদিন খাইনি আমরা।

এ শূন্যতাই থাকুক

"মা নেই", ব্যস, এই দুটোই শব্দ। তিনটে অক্ষর। কি অসীম শূন্যতা। প্রায় ন বছর, এই দুটো শব্দ সব কিছু বদলে বদলে দিচ্ছে। রোজ অল্প অল্প করে সব কিছু বদলে দিচ্ছে। দিনের আলোর রঙ, রাতের আকাশের স্নিগ্ধতা, ভাতের গন্ধের তৃপ্তি, ধুপের গন্ধের আরাম, রাতের বিছানায় মাথার বালিশের শান্তি - সব বদলে দিয়েছে। হাসির মুক্তোগুলো মেকি। কান্

মানে কি হল?

শীতের দুপুর। আমি, আমার পাশে বসে আমার বন্ধুর বাবা, তার পাশে আমার বন্ধু। গাড়ি যাচ্ছে হালিসহর থেকে বারাসাত। বন্ধুর বাবার ক্যান্সার। শেষের দিকে। চিকিৎসার জন্য বারাসাতের একটা নার্সিংহোমে যাচ্ছি। আসলে সবাই জানি আর কিছু করার নেই, তবু চেষ্টা একটা করে দেখতে ক্ষতি কি?

দুটি বাঁধন

আমরা তখন ইউটিউবে কার্টুন দেখছি। যে কার্টুনের অর্থ তাৎপর্য এমনি সময়ে বিন্দুমাত্র বুদ্ধিগোচর হয় না, সেই কার্টুনই কি অসম্ভব বাস্তব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল ইনি কোলে বসতেই। খানিক বাদে ইনি বললেন, তোমার মোবাইলটা দাও। দিলাম। তাতে চলল --- "টুম্পা সোনা"। আর ইউটিউবে তার সঙ্গেই চলছে চুচু চ্যানেলের কার্টুন। উনি কোল থেকে নেমে দু'পাক নেচে আবার কোলে বসে পড়ছেন। আবার কার্টুনের ঘটনাপ্রবাহে

সমীরণদার তোলা ছবি

দুটো ছবি শ্রদ্ধেয় সমীরণদার তোলা। কদিন আগে আমার একজন খুব ভালো বন্ধু সমীরণদার একটা ছবির তলায় গিয়ে মন্তব্যে আমায় ডেকে বলেছিলেন, আমি যেন কিছু লিখি।

   এর একটা ইতিহাস আছে। এক সময় ছিল যখন সমীরণদার ছবি নিয়ে আমি মাঝে মাঝেই লিখেছি। এমনকি ছবির পাশেও লিখেছি নানা কায়দাকানুন করে।

   আজ সেটা পারি না। কারণটা আমার কাছে খুব স্পষ্ট। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোধের ধার বাড়ে।
...
Subscribe to স্মৃতিকথন