শান্তিকে পায় না
মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না।
ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়।
ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।
কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না।
সর্বস্ব খুইয়েছি
কতবার
মোবাইলের পর্দায় ভাসা
তোমার ছবিতেই
দু ঠোঁট জড়ো করে
চুমু খেয়েছি
ভালোবাসতে
শুধুমুধু সব সময়
কাছে পেতে হয় নাকি?
আমি এক নতুন রাস্তা পেয়েছি
রুক্ষ মর্মে
তুমি নিশ্চিন্তে এসো
আমার নিঃস্বতা
আমায় লজ্জা দেয় না আর
তুমি নিশ্চিন্তে ফিরো
আমার রিক্ততা
আমায় কুণ্ঠিত করে না আর
সেই বিশ্বাসে
আসলে আমরা কেউ স্বীকার করতে চাইছি না
আমরা আলো হারিয়েছি
আমরা যে যার মত
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গণ্ডি টেনে
নিজেদের অন্ধকার উদযাপন করছি সোল্লাসে
মনের গুহায়
যেখানে যত আঘাত পেয়েছ
জমিয়ে রেখেছ
গভীর সুখে
গোপন সুখে
মনের গুহায়
এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?
এই যে মাঝে মাঝে
যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
নাকি হিমালয়ের কোল
কারা এত ডাকে তোমায়?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে
সবাই সেক্যুলার
ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার
আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার
স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
থানায় কালীপুজো
কারখানায় বিশ্বকর্মা
সব সেক্যুলার
কিছু যেন তার
দূর থেকে
দূর থেকে মনে হয়
ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
কাছে এসে দেখো
এক একজনের মধ্যে
যোজন যোজন ফাঁক
সেখানে বিস্তর অন্ধকার
আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের
দূর থেকে মনে হয় যেন তারা
শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে