Skip to main content

ইউক্রেন

সংবাদ সংখ্যা জানায়। যন্ত্রণার বিবরণ জানায় না। ওটা অনুমান করে নিতে হয়। কারোর প্রত্যক্ষ বর্ণনা পড়লে বোঝা যায় মানুষকে আসলে ধর্ম খারাপ করেনি, মানুষ
আদতে খারাপই। বর্বরই। নইলে এত এত নীতির কথা রাতদিন শেখাতে হয় কেন, দিনের শেষে অবশেষে যা ব্যর্থ? স্বাভাবিকভাবে বিবেক কাজ করে না কেন?
একজন শিশুর যৌনাঙ্গে নিজেকে প্রবেশ করিয়ে যে উল্লাস, তার যন্ত্রণায় যে নিজের তৃপ্তি, সে শিক্ষক হোক, আত্মীয় হোক, রাশিয়ার সৈন্য হোক… সে আদতে
মানুষ তো? একজন যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়া মানুষের শরীরকে পেষণ করে কি সুখ, কি আনন্দ? আমি সত্যিই বুঝি না বিশ্বাস করুন।
...

অভিমানী বাইডেন

এই তো কদিন আগে, বউকে তার আপত্তি সত্ত্বেও বন্ধু রং মাখিয়েছিল বলে, কি সুন্দর
টুক করে গুলি করে খুন করে চলে এলো তার বর। কেউ এট্টুও প্রশংসা করল না মানুষটার

শৈশব সুরক্ষিত হোক

আজ অনেকক্ষণ আমরা মাঠে কাটালাম। সে গরু দেখে "হাম্বা" বলে ধরতে যায়। সে মাঠের উপর হাঁটতে হাঁটতে খড়ের টুকরো
মুখে পুরতে চায়। সে আকাশে ওড়া প্লেন দেখে 'ট্রেন' বলে ধরতে যায়। চলতে চলতে আমাদের গল্প হয়।
যদিও আমাদের ভাষায় স্বরবর্ণেরই আধিক্যই বেশি। হাসিতে, চুমুতে, আদরেই আমাদের কাজ চলে যায়। ...

'খিল্লি'

তবে আমরা কোন সমাজে বাস করছি? আমাদের উত্তেজনা,
আমাদের রসবোধ, আমাদের শৃঙ্খলাবোধ এমন জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছে যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ ছাড়া আমাদের সামলানো যায় আজকের দিনে?
আর যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ না পাওয়া যায় তবে তাকে নিয়ে এমন খিল্লির পর্যায়ে চলে যাবে সব?

ডোন্ট লুক আপ

যে ছেলেমেয়েগুলো ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিল,
তারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর সম্বন্ধে পড়ে এলে ভারতীয়দের শরীর বুঝতে অসুবিধা হবে না। এই বিশ্বাসেই আরো আরো দেশ থেকে আরো আরো অনেকে এসেছিল,
যারা জানত ইউক্রেনের মানুষের শরীর নিয়ে পড়লেও তাদের নিজেদের দেশে ফিরে মানুষের শরীরের চিকিৎসা করতে, মনের চিকিৎসা করতে বাধা হবে না। বিজ্ঞান একই ভাষায় কথা বলে সারা বিশ্বে। ...

উৎকণ্ঠা

এই উৎকণ্ঠাটা চেনা। বি আর চোপড়ার মহাভারত হত রবিবার করে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
কি অসহ্য লাগছে। কেউ উঠছে না সিংহাসন ছেড়ে।
কেউ গিয়ে দুঃশাসনের হাতটা চেপে ধরছে না। সবাই চুপ। টিভির স্ক্রিন জুড়ে শুধু কান্না আর চীৎকার, আর্তনাদ। আর কাদের কাদের অট্টহাসি।...

শব্দের মান

সে অনেক কাল আগের কথা। কোনো এক দেশে এক বিদ্বান রাজা ছিলেন। তার মত বিদ্যা আশেপাশে যোজন যোজন দূর রাজ্যের রাজাদেরও ছিল না। তিনি বিদ্যাকেই ঈশ্বর মানতেন। তাই সে রাজ্যে সব মন্দিরে শুধু বর্ণমালালিপি পূজিত হত। সরস্বতীপুজো ছাড়া অন্য পুজোও ছিল নিষিদ্ধ।

মোটে চারটে অক্ষর

দেখুন, শব্দগুলো তো আগেও শুনেছি, মানে আর কি জ্ঞান হওয়া ইস্তক শুনে আসছি। কিন্তু এমন অসামান্য
স্পষ্ট, সুরে উচ্চারণ, সত্যিই আমার মনে পড়ে না আমি শুনেছি।

স্বামীজীর জন্মদিন

(আজ ১২ই জানুয়ারি। স্বামীজীর জন্মদিন। তিনি এককালে স্বদেশমন্ত্র লিখেছিলেন। আজ যদি লিখতেন, তবে কি লিখতেন?)
Subscribe to হাল হকিকৎ