Skip to main content

চলা


না তো দুর্ভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারো, না তো সৌভাগ্যের পথ চেয়ে সব কাজ ফেলে বসে থাকতে পারো। 

মাঝামাঝি একটা রফা তোমায় করতেই হবে। জুতো না মিললে খালি পায়েই হাঁটতে হবে। তবু হাঁটতেই হবে। জুতোর ওজর দেখিয়ে বসে থাকলে, জুতোর মানই বাড়ে শুধু অনর্থক, ক্ষতি যা হয় সে আমার। সে না-চলার ক্ষতি, রক্তাক্ত পায়ের তুলনায় অনেক বেশি। ক্ষত সারবে, কিন্তু, সময় আর ফিরবে না যে!

খেলাঘর

যে মানুষের সব সুখ-দুঃখ কোনো একটি বিশেষ মানুষকে ঘিরে, তার পক্ষে স্বাস্থ্যকরভাবে ভাল থাকা খুব মুশকিল। কারণ কোনো মানুষেরই ক্ষমতা নেই কোনো মানুষের এতটা মনোযোগের ভার বইতে পারে। এমনকি সে চাইলেও। অনেকেই যেমন কতটা খাবার খাওয়া তার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল বুঝতে না পেরে, আকণ্ঠ খেয়ে হাঁসফাঁস করেন। তেমনই বহু মানুষই ঠিক কতটা প্রেম হজম করতে পারেন, তা না বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর? সেই হাঁসফাঁস!!!

লাগাম

যেমন লোভের একটা চেষ্টা আছে, সেরকম চেষ্টারও একটা লোভ আছে। এই দুই এর মধ্যে সীমারেখা টানা মুশকিল। 

লোভের চেষ্টা সাধ্যের সীমা মানে না, যোগ্যতা বিচার করে না, প্রয়োজনের ধার ধারে না। বলে, "দেখিই না কি হয়"। আরো বেশি জমাতে চাওয়া, আরো সুখী হতে চাওয়ার জোরটাই বেশি তার। তবে সার কথা হল, এর একটা Object আছে। 

আশ্চর্য প্রদীপ

'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে'- এর থেকে বড় আশ্চর্য প্রদীপ আছে কি? যার থেকে রোজ একটা করে দিন জন্মায়, সেই প্রদীপের দৈত্যের মত। নিত্য তার হাতে নতুন কিছু একটা কাজ দিই। কাজটা হয়তো সম্পূর্ণ হয়, কিন্তু আশাটা পূর্ণ হয় না। রাতে বালিশে মাথা রাখি আর পাশে রাখি সেই প্রদীপটা, সেই আশ্চর্য প্রদীপ - 'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে!'
 

কাঁচা বাদাম

এক প্যাকেট বাদাম। চিবোচ্ছেন, ভাবছেন। ভাবছেন, চিবোচ্ছেন। ভাবনাটা বেশ পুডিং-এর মত জমে আসছে। বেশ একটা বুড়ির চুলের মত মিহি সুখ আপনাকে আচ্ছন্ন প্রায় করে ফেলেছে... এমন সময় অকস্মাৎ আপনার মুখে এসে পড়ল - পচা বাদাম! 

গেল না পাকা আম মাটিতে থেঁতলে পড়ার মত, আপনার সুখ!

জলের দাগ


জীবনটা খানিকটা জলের দাগ কেটে খেলার মত। তুমি মনের আনন্দে একটা জলের দাগ কাটলে, কল্কা আঁকলে। সেটা কিছুক্ষণ থেকে গেল। আরেকটা কিছু আঁকতে লাগলে, ইতিমধ্যে আগেরটা মিলাতে শুরু করল। তুমি বিদায় নিলে, জলের সব দাগও চিরকালের জন্য মিলিয়ে গেল।

ছাদ


বাড়ির উপর যে ছাদ, সেখানে আমার প্রতিদিনের ছুটি, প্রতিদিনের মুক্তি। সে শুধু তার উপর অসীম নীল আকাশ আছে বলে। যদি আকাশ না থাকত, সেটা তবে হত - দোতলা, তিনতলা, চারতলা...খুব জোর চিলেকোঠা..তাতে আরাম থাকত হয়তো, ছুটি থাকত না, মুক্তি থাকত না।

ভুল ভালোবাসা


একটা ভুল মানুষকে ভালোবাসার অনেক জ্বালা। সব চেয়ে বড় জ্বালা হল, ভুলটা ভাঙলেও ভালোবাসাটা ভাঙে না। কিন্তু সেই ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করার মত শক্তিও আর থাকে না। কি সংকট। না যায় ভোলা, না যায় মানা। এ যে নিজের ভালোবাসা নিয়ে নিজেই নাজেহাল। না পারা যায় ভাসাতে, না পারা যায় ঘরে নিয়ে গিয়ে কুলুঙ্গীতে তুলে রাখতে। 

শূন্যপাত্র

একটা লোক তৃষ্ণার্ত। গ্লাস হাতে কলের কাছে গেল। কল খুলল। হাতের গ্লাসটা কলের নীচে না ধরে, উপরে ধরল।
      হাসির কথা না? 
      হ্যাঁ, অনেককেই দেখেছি শূন্যপাত্র নিয়ে ফিরছে। সঠিক স্থানে পৌঁছাচ্ছেও হয় তো বা। কিন্তু নিজেকে নীচুতে না রেখে, রাখছে ওপরে। পরিণাম? সেই শূন্যপাত্র!

অবসর


সেদিন সকালে ঝুল বারান্দায় বসে আছি। মনটা পদের না। কেন পদের না, বুঝছি না, বোঝার চেষ্টাও করছি না। পাত্তা দিলে পেয়ে বসে। খুব আদুরে বেড়ালের মত মন এক্কেবারে পছন্দ না আমার। সে যা হোক সামনের বাড়ির বাঁধানো উঠানে কটা ঝরা পাতা এলোমেলো বাতাসে উড়ছে, দেখছি, বেশ লাগছে।

Subscribe to চিন্তন