লুডো
রাত ক'টা হবে? একটা দেড়টা হবে। প্রশান্ত'র ঘুম ভেঙে গেল। আবার সেই শব্দটা না?
ভিন্ন আমিরা
মারের সাগর পাড়ি দেব গো
(এক মাঝির গল্প। এমন মাঝির দেখা সংসারে কদাচিৎ মেলে। যেমন আজ, এমনই এক মাঝি ভূষিত হবেন মানুষের দরবারে সন্ত নামে। কিন্তু সে ভূষণ তো তিনি সেদিনই পেয়েছেন যেদিন সে ডাক শুনেছেন। অবশ্যি ডাক তো শোনে কতজনে সাড়া কি আর সবাই দেয়?)
শসা
রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। একটা বুড়ি, শসা হাতে নিয়ে সেটাই বসে বসে দেখছে। শতছিন্ন শাড়ি। রোগা বুড়ির গড়ন বেশ শক্তপোক্ত। মিস্ত্রীরা যত বলছে, ও ঠাকুমা সরে বোসো, গায়ে নোংরা লাগবে যে! বুড়ি নির্বিকার। নড়েও না, চড়েও না।
খুব মুশকিল দেখে একজন বুড়ো মিস্ত্রী ওর পাশে গিয়ে বসল। বলল, তোমার কি হয়েছে ঠাকুমা? তুমি সরছ না কেন?
মায়া
ফার্নিচার
- ওই ঘরটাকে বাবুর পড়ার ঘর করে দিই বুঝলে। ও ঘরের ফার্ণিচারগুলো বিক্রি করে দিলে হবে।
- সে কি! তুমি যে বলেছিলে ঠাকুরঘর করবে?
- সে পরে হবেখন। কি জানো বাড়িতে লোকজন এলে ওর পড়ার ভীষণ ডিস্টার্ব হয়। আর ঠাকুর যেমন শোয়ার ঘরের তাকে আছে থাক। পরে ভাবা যাবে।
****** ******* ****** *********
টিপ
টিপের আঠাটা নষ্ট হয়ে গেলে খুব মন খারাপ লাগে। বারবার আয়নার সামনে দাঁড়ায়। কপালে আঙুল ছুঁইয়ে দেখে, না তো আঠাটা লেগে নেই তো! টিপটা হাতে নিয়ে, টিপের পিছন দিকে আঙুল ছুঁইয়ে দেখে, খসখস করছে, আঠাটা কোথায় গেল?! প্রত্যেকবারই এমন হয়, আঠাটা খুঁজেই পায় না।
কাঁঠাল
বিকট
কড়িবরগার দিকে তাকিয়ে হাঁ করে শুয়েছিল বিকট।সকাল থেকে বাইরে বেরোয়নি আজ। মনটা ভাল নেই। কেন ভাল নেই অবিশ্যি সে নিজেও জানে না। শুধু এটুকু জানে তার আজ মন ভাল নেই। রোজ সকালে এই সময়টায় সে জঙ্গল থেকে শুকনো কাঠ এনে, চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালিয়ে, একটু চা করে খায়। চা খেতে খেতে জঙ্গলের শোভা দেখে। সূর্যের আলো, গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে তার এই জরাজীর্ণ বাড়ির উঠোনে কেমন আলপনা আঁকে, সেগুলো আবার কেমন সরে সরে যায়, পাল্টে
মাটি
আচমকা মনে হল সবাই যেন খুব এগিয়ে গেছে। রাস্তার দিকে তাকিয়ে মনে হল, কই কাউকে তো চোখে পড়ছে না। বিস্মিত হলাম না। এটাই তো হওয়ার ছিল। এরকমই তো হয়।