Skip to main content

জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন

আমি তো জানতাম তিনি বেড়াতে গেছেন। ফিরে আসবেন কয়েক দিন কি মাসের মধ্যেই। ও বাবা! এ তো দেখতে দেখতে বছর ঘুরল। তাঁর তো দেখাই নেই। কেউ বলে, উনি নাকি জলে ডুবেছেন, কোন সমুদ্দুরে তা তিনি-ই জানবেন। কেউ বলে নাকি জঙ্গলে পথ হারিয়েছেন, কেউ বলে জঙ্গলে না তো, মরুভূমিতে! কেউ বলে হিমালয়ের ওদিকে নাকি কি কলোনি আছে, ওখানে ঘর ভাড়া নিয়েছেন। তা শুনে নিন্দুকের দল বলে, "কই?

“Indian Pickle"

"মা কেউ কারো ন্যানোতে মুখ দেয়? বাপি যে ভিডিওটা দেখছিল একটা আঙ্কেল তাতে একটা আন্টির...”
        শ্বেতা রান্নাঘরে মাছগুলো ধুচ্ছিল। বাকি কথাটা বান্টি বলার আগেই চীৎকার করে বলল, তুমি এখনও বাড়িতে কেন? সানডেতে তোমার ড্রয়িং ক্লাস থাকে ভুলে গেছো? আর কতবার বলেছি তুমি বাপির ঘর নক করে ঢুকবে? যাও এখনি প্রদ্যুত আঙ্কেলের বাড়ি...

কাছে দূরে

রোহিত মর্গ থেকে বেরিয়েই দেখল প্রচণ্ড রোদ বাইরে। হাসপাতালের এদিকটায় কেউ আসে না এই দুপুরের সময়টাতে। একটা বিশাল বটগাছের তলায় একটা বেঞ্চ পাতা। বেঞ্চটার অর্ধেকটা ভেঙে গেছে। কাঠের বেঞ্চ। কাঠের উপর দাগ দাগ খাঁজগুলোতে পুরু ময়লার স্তর। রোহিত একটা

স্যাণ্ডো গেঞ্জি

লোকটা দরজা খুলে ঘরে ঢুকল। জানলাগুলো খুলল। রোদ এসে মেঝেতে শুলো শরীর এলিয়ে। লোকটা ঘরের একটা পাশে রাখা চৌকিতে বসল। তার মনে হচ্ছে ঘরে কে যেন একটা আছে। তার খুব পরিচিত, তার দিকে তাকিয়েই যেন বসে আছে কোথাও একটা। বসে আছে? না, হয়ত দাঁড়িয়ে।

চিড়

বৈশাখীর সব পাল্টে গেল জামাটা দেখার পর। সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত ছিল। ছেলেকে স্কুলে পাঠানো, কাজের লোক, রান্নার লোকের পিছনে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে...

প্রাচীন বর্ষা

রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিল। বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকে। একটা ময়লা চাদর জড়িয়ে লোকটা সামনের বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে তাকিয়ে। হাতে চায়ের ভাঁড়। তার খেয়াল নেই জল জমতে শুরু করেছে। পায়ের পাতা ডুবে গেছে ইতিমধ্যে। একটা ফাঁকা সিগারেটের প্যাকেট জলে ভাসতে ভা

জাল

ভিজে বিছানায় একপাশে বসে লোকটা। উলঙ্গ। পা আর পাছা ভিজে যাচ্ছে জলে। লোকটা নির্বিকার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে বসে। পায়ের পাতার দিক থেকে একটা অসাড়তা জন্মাচ্ছে। ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে আসছে। পায়ে কি ঝিঁ ঝিঁ ধরেছে? ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঠিক ঘুম না। একটা তন্দ্রার মত।
...

মোহর

লোকটা বেলচা করে ময়লা তুলছিল। ময়লার গাড়ি এসেছে সকালবেলা। বিশ্রী বোটকা গন্ধ। শহরের ময়লা মানুষের তৈরি ময়লা। লোকটার আগে কৌতুহল ছিল। এখন নেই। ময়লার রকমেরও সীমা আছে। কিন্তু মাত্রা নেই পরিমাণের। লোকটা উদাস। বেলচা চলছে নিয়মমাফিক ঘচাঘচ। 

সন্ধিক্ষণ


খিচুড়ির পাতা নিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে হীরু বারেবারে। হীরুর আঁচলটা পাতে পড়ছে দেখে বাড়ির গিন্নী বললেন, কি হল রে হীরু, কি ভাবতে বসলি খাবার মুখে করে? তোর ছেলেমেয়েদের জন্যে বেঁধে দিইচি তো রে।

দুপক্ষ

রাস্তাটার মাঝ বরাবর চিড় ধরল। সবাই ভাবল দুটো পথ হবে বুঝি এবার। ফাটল ধরে ধরে এগোতে লাগল সবাই। কোথায় গেছে তবে দুটো রাস্তা দুদিকে?

Subscribe to অনুগল্প