Skip to main content

প্রতিবাদ হোক, বেইমানি না

        একটা দেওয়ালে হাতুড়ি মারল কয়েকজন। তারা ভেবেছিল হাতুড়ির বাড়ি পড়তেই ইটগুলো ফুল হয়ে এসে তাদের পায়ের কাছে পড়বে। কিম্বা ইটগুলো বকের মত আকাশে উড়ে মিলিয়ে যাবে। 
        হল না। ইটগুলো হুড়মুড় করে পড়ল পায়ে। পা ভাঙল। ইটের কুঁচি চোখে এসে পড়ল। চোখের সাদা হল লাল। 

নতুন ফিতে

রামশংকরের সকালবেলায় উঠেই আজ প্রথম নিজেকে ভালো লাগল। এর আগেও অনেকে তাকে বলেছে। অনুভব করতে পারেননি। আজ একটা শালিখ পাখির মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মনে হল তিনি আসলে একজন ভালোমানুষ। তারপর রামশংকরবাবু অনেকক্ষণ বিছানা থেকে নামলেন না। খাটের বাঁদিকে নীচে দুপাটি চটি রাখা।
...

ঝোড়ো সন্ধ্যে

এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় উঠল। পুকুরের ধারের কৃষ্ণচূড়া গাছটা ঝড়ের হাওয়ায় দুলতে দুলতে পুকুরের উত্তাল জলকে ছুঁয়ে ফেলল। পুকুরের গায়ে শিহরণ জেগে গেল। এপারের ঢেউ লাগল ওপারে গিয়ে। চারদিকে বৃষ্টির সাজো সাজো রব। মাটির শুকনো ধুলো জলের সাথে মিশে সেজেছে নদী।
...

অমঙ্গল

মালতী বাইরে বেরিয়ে আকাশের দিকে এক ঝলক তাকালো। চাঁদিফাটা রোদ। মালতী হাইরোডের ধারের সব ধাবাগুলোতেই রাতে থাকে। ভাগ করা আছে, কোনদিন কোন ধাবাতে। তার এই ছাব্বিশ বছর বয়সে সে জানে একটাই পুঁজি তার – শরীর। মালতী শরীরের যত্ন নেয়।
...

কৃষ্ণচূড়া

কাজের ঘোরটা একটু যেন বেশি। সারাদিন দেওয়ালের মধ্যেই কেটে যায়। অফিসে যখন ঢোকে তখন বাইরে সকালের রোদ। অফিসের গেটের পাশেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। অফিসে জয়েন করা থেকে রণিত গাছটা দেখছে। অ্যাজ সাচ অফিসে যেদিন প্রথম ইন্টারভিউ দিতে আসে সেদিন গেটের সামনে এই গাছটাই যেন তাকে স্বাগতম জানিয়েছিল। এমন নয় যে সে কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব ভালোবাসে। তার বাড়ি মদনপুরে।
...

গ্যাদারিং

 উৎসবে হাসিমুখ রাখা কতটা সোজা। সবাই হাসছে। চোখে-মুখে হাসি ঠিকরে পড়ছে। সাজ-পোশাক বলে দিচ্ছে, কি অসম্ভব খুশী আমরা। পরিপূর্ণ আমরা। ক্ষোভ? ফুঃ! ওসব ফু দিয়ে ওড়াই আমরা।
...

ঝোড়ো সন্ধ্যে

আমায় এখন ভূতে পেয়েছে। তাই খালি খালি ভূতের গপ্পো বলব। তবে আজ যেটা বলব, গপ্পো নয়। খাঁটি সত্য ঘটনা।
তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। মা, বাবা, ভাই বাড়িতে কেউ নেই। সব্বাই বড়মামার ওখানে গেছে সল্টলেকে। শনিবারে থেকে রবিবার ফিরবে।
...

ডুব

স্যুটকেসটার উপর হাতদুটো জড়ো করে বসে আছেন। চোখে কার্বন ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা। উচ্চতা পাঁচ, সাড়ে পাঁচ হবে। গালে বয়েসজনিত ভাঁজ চামড়া কুঁচকে। ফর্সা গায়ের রং। সাদা চেক চেক হাফ হাতা জামা আর কালো একটা ফরম্যাল প্যান্ট পরা। 
...

অসিদ্ধি

নদীটা কতদিন হল মাঠের পাশে পড়ে আছে আকাশও জানে না। একটা পাখি আমগাছটার মগডালে বাসা বেঁধেছে। কি পাখি কে জানে। পাখিটা শহরে যায়। গ্রামে যায়। আস্তাকুঁড়ে যায়। শ্মশানে যায়। দিনের শেষে সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসে আমগাছটায়। তার নীড়ে সে একাই থাকে।
...

জাল

পাখিটাকে দেখে তারা রোজ আলোচনা করত। অনেকে তো শুনেছি কাঁদতও। এমন কাঁদত যে চোখের কাজল গালে লেগে যেত। টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হত। তারপর চলত আলোচনা, তর্ক, ব্যাখ্যা, ব্যাখ্যার ব্যাখ্যা। ওই দেখো, আসল কথাটাই তো বলা হল না, কি নিয়ে আলোচনা।
...
Subscribe to অনুগল্প