পান্নালাল
জনবহুল রাস্তা। আলোয় আলো চারদিক। দুর্গাপূজোর জামা দ্বিতীয় দফায় কালীপূজোতে বেরিয়েছে আবার। কচিকাঁচা, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী-বয়স্করা রাস্তায় --- ঠাকুর দেখতে, প্যাণ্ডেল দেখতে, আলো দেখতে, মানুষ দেখতে।
বোধ
সর্দার
এখনই না
পুকুরপাড়ে হাঁসগুলোকে ছেড়ে দিয়ে পা ছড়িয়ে ছাতিম গাছটার তলায় বসল বিহান। নীল আকাশ, সাদা সাদা কয়েক টুকরো মেঘ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বিহানের শাড়ির উপর উড়ে এলো কয়েকটা কাশফুলের রোঁয়া। বিহান নিজের পায়ের দিকে তাকালো। কড়া পড়েছে, আঙুলে ফাঁকে ফাঁকে হাজাও আছে। এই শাড়িটা চার বছর আগে
আমগাছ
মানুষটা আমগাছের চারাটা লাগিয়ে, কয়েকদিন মাত্র নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিল, গাছটা না হলেই ভালো। কিন্তু একদিন ভোর সাড়ে চারটে উঠে বাগানে এসে যেই দাঁড়িয়েছে, তার চোখ ঠোক্কর খেল দুটো সবুজ পাতায়, একটা চারাগাছ জন্মিয়েছে।
অষ্টমী
মণ্ডপে আমাদের দাঁড়ানোর লাইন দেখেছেন? পুরুষের লাইন দেখেছেন, মহিলার লাইন দেখেছেন। আমাদের? আমরা ওই মহিলাদের লাইনেই দাঁড়াই। আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত বুঝলেন তো। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে আমরা হলাম জ্বলন্ত উৎপাত।
সপ্তমী
কেটস
সাদা কেটস কিনে দিত বাবা। জুটমিলে কাজ করত। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার বড়, দিদি। ওই কেটসই পেতাম প্রতি বছর। স্কুলেও ওই দিয়েই হয়ে যাবে তাই।
লুকোচুরি
ধুলো
উঠোন ঝাঁট দিতে দিতে রোজই বড় রাস্তায় চলে আসে বাড়ির বউটা। ঝাঁট দিতে দিতে কখন ঘোমটাটা খুলে যায় তাও খেয়াল থাকে না। এই নিয়ে নিত্য গঞ্জনা শুনতে হয় তাকে।
সেদিন রাতে সে বরকে জিজ্ঞাসা করল, বড় রাস্তায় গেলে কি হয়?
বর বলল, বেশ্যা।