Skip to main content

অর্ধসত্য

রাতের অন্ধকারে ছাদে একা বসেছিল। আজ তার বিবাহবার্ষিকী। তার না, তাদের, তবু রাজীবের মনে হয়, তারই। স্নেহা তার প্রতিদ্বন্দ্বী। সামাজিক জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বী, কর্মজীবনে না। কর্মজীবনে রাজীব একা আর্থিক স্বাবলম্বী। স্নেহা পরজীবী। এইটুকুই রাজীবের জিত। জিত না, পুরুষত্বের অঙ্কুশ।br> ...

ঠোঙা

সন্ন্যাসী, জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়, তার মধ্যে যে গুহা, সেখানে বাহান্ন বছর হল ধ্যানরত। তিনি আত্ম-জিজ্ঞাসু। মনের মধ্যে কলের পর কল নামিয়েছেন। মনের গভীরের থেকে গভীরে ঢুকছেন তো ঢুকছেন। এ গলি সে গলি।
...

যতক্ষণ না শুকতারা ওঠে

রাস্তাটা মোড় ঘুরিয়ে চলে গেল। একটা কাক উড়ে উড়ে অনেকক্ষণ বসার জায়গা খুঁজে চলেছে। নিতান্ত ক্লান্ত না হলে যে ভিখারিটা হাঁটা থামায় না,
...

নববর্ষ

সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। এদিকে রাজামশাই কিছুতেই ঘুম থেকে উঠছেন না। মন্ত্রী দুধের গ্লাস নিয়ে দরজায় টোকা দিয়েছেন। সাড়া নেই। রাণীমা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ আর কমপ্লান গুলে রাজামশাইয়ের দরজায় টোকা দিলেন, তাও সাড়া নেই।
....

রম্যা

       ছাগলের দাম পাঁচ হাজার। বিক্রি হবে। হাটবার আজকে নয়। আগামীকাল। রম্যা কোনোবার ছাগল বিক্রীর আগেরদিন ঘুমায় না। অম্বল হয়। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে। জোয়ান রাখা থাকে একটা পানের মশলার গোল, রঙচটা কৌটোয়। কৌটোটায় রম্যার শাশুড়ি সুপুরি রাখত। রম্যা ঢাকনা খুলে দেখল জোয়ান শেষ। 

নীল সাদা

        বকগুলো আকাশে উড়ছিল। আকাশের মা বারবার বারণ করছিল, উড়িস না, উড়িস না এখন, আমি এইমাত্র আকাশটায় নীলরঙ লেপেছি। তা কে কার কথা শোনে। সব বকগুলো ঝাঁক বেঁধে উড়তে শুরু করল। আকাশের কাঁচা নীলরঙ লাগল তাদের সারা গায়ে। তাদের ডানার দোলায় বিন্দু বিন্দু নীলরঙ এসে পড়তে শুরু করল মা

গন্ধ

        এক হাতে সাইকেলের হ্যাণ্ডল, আরেক হাতে দুধের ক্যান, ঢাকনা শক্ত করে আঁটা, সন্ধ্যাবেলা রোজ রেললাইনের ধার দিয়ে দিয়ে, এবড়োখেবড়ো রাস্তায়, সাবধানে সাইকেলে প্যাডেল করতে করতে বাড়ির দিকে এগোন, শীতকালে মাফলার-টুপি-সোয়েটার, গরমকালে ফতুয়া, বর্ষাকালে বর্ষাতি গায়ে। 

অপেক্ষা

        একজন মানুষ অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা তার থেকেও বেশিক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটার মাথার উপর কৃষ্ণচূড়া ফুলের ঝাঁকি গাছ ভর্তি, কি সুন্দর করে একটা পাখি ডাকছে, মানুষটা ভ্রুক্ষেপ করছে না। হাতের সিগারেটটাকে জোরসে আঁকড়ে নি

মা গুরুপ্রাণদায়িণী

        গুরুদেবের সকাল থেকে উপোস। শিষ্যরাও কিছু দাঁতে কাটেনি সকাল থেকে। বেড়ালগুলো, কুকুরগুলো না খেয়ে। মায় কাকগুলো অবধি না খাওয়া। 

গ্রামে আর কোনো বিপদ নেই

 সারারাত পেটের যন্ত্রণা। গায়ে জ্বর। ফণীর বউ পাশে ঘুমিয়ে। ফণীর বাড়ির বারান্দায় এখনও প্যাণ্ডেল খোলা হয়নি। মেয়েটার বাৎসরিক কাজ ছিল। নাইনে পড়ত। যে ছেলেটাকে ভালোবাসত সে ছেড়ে গেল, মেয়েটা মায়ের নতুন কেনা শাড়ি পাখাটায় লাগিয়ে ঝুলে গেল। পাখাটা বদলে নিতে বলেছিল পাড়ার পুরোহিত। বদলায়নি, বেচে দিল হাফ দামে, ফণীর মামা কিনে নিল। এক বছর হল বাড়িতে পাখা নেই। 
Subscribe to অনুগল্প