কবিতা

মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না। 

ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়। 

ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।

কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
    অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না। 

কতবার
মোবাইলের পর্দায় ভাসা
        তোমার ছবিতেই
    দু ঠোঁট জড়ো করে
            চুমু খেয়েছি

ভালোবাসতে
   শুধুমুধু সব সময়
      কাছে পেতে হয় নাকি?
           আমি এক নতুন রাস্তা পেয়েছি

তুমি নিশ্চিন্তে এসো
আমার নিঃস্বতা 
   আমায় লজ্জা দেয় না আর

তুমি নিশ্চিন্তে ফিরো
আমার রিক্ততা 
    আমায় কুণ্ঠিত করে না আর

আসলে আমরা কেউ স্বীকার করতে চাইছি না
   আমরা আলো হারিয়েছি
  আমরা যে যার মত
        ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গণ্ডি টেনে
নিজেদের অন্ধকার উদযাপন করছি সোল্লাসে 

যেখানে যত আঘাত পেয়েছ
    জমিয়ে রেখেছ
         গভীর সুখে
            গোপন সুখে 
              মনের গুহায় 

এই যে মাঝে মাঝে
   যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
     যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
   নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
       নাকি হিমালয়ের কোল 
কারা এত ডাকে তোমায়? 
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
      সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে

ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার

আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার 

স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
    থানায় কালীপুজো
        কারখানায় বিশ্বকর্মা 

         সব সেক্যুলার 

যেন সব কিছু
   ভুলে যাওয়ারই কথা ছিল 
যেন তবু মনে পড়ে যাচ্ছিল 
যেন সব দেখাশোনা শেষ 
   কেউ তবু ফিরে ফিরে ডাকছিল
চলতে চলতে 
  সব অভিমান 
      ধুলোয় লুটিয়ে পড়ছিল
 যেন এই তো সবে শুরু
       সূর্য তবু পশ্চিম আকাশে ঢলছিল 

দূর থেকে মনে হয়
    ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা

কাছে এসে দেখো
   এক একজনের মধ্যে 
         যোজন যোজন ফাঁক
   সেখানে বিস্তর অন্ধকার
     আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের

  দূর থেকে মনে হয় যেন তারা

আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
   সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে 
       আমার তোমার কথা মনে পড়ে 

আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
    কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
     আমার তোমার কথা মনে পড়ে