Skip to main content

অনশন


ওদের বোকা বোকা জেদ 
হারতে লজ্জা লাগছে, ইগোতে লাগছে
   জানি তো!
সুক্ষ্ম কঠোর অতিমানবিক নজর তোমার
দেখে নিতে চাইছ, মতলবটা কি?

তবু একটা কথা থেকেই যাবে জানো

কতটা দূরত্ব?


সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে রক্তিম মেঘের বুক চিরে 
    ঘরে ফিরছিল একঝাঁক পাখি

মেঘের সাথে কতটা দূরত্ব ওদের?

অন্ধচোখ বৃদ্ধার পাশে বসে
হত দরিদ্র সম্বলহীন স্বামী
ঢাকের তালে তালে দিচ্ছে তালি

সুখের থেকে কতটা দূরত্ব ওদের?

হারানো বাসা

লোকটার কাঠ ঘষা দেখছিলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
ঘষতে ঘষতে এমন মসৃণ করে দিল
  যে দুপুরের চড়া রোদ ঠিকরে 
ওর দোকানের দেওয়াল ঘড়ির কাঁচকে যেন হার মানিয়ে গেল

ওলটপালট

আমিও অপেক্ষায় আছি 
      পাঁচিলটা ভেঙে পড়তে দেখার
আলোর মজলিশ ঘিরে জীবনের উৎসব 
        আমিও অপেক্ষায় আছি
...

আবিলতা


তুমি মিথ্যাবাদী নও
তুমি প্রবঞ্চক 
তোমার প্রতিটা কথা অক্ষরগত সত্য
    হৃদয়গত সত্য কি?

রথের চাকার ধ্বনি


কোথা চলিতে চাও প্রভু?
শুধালো না কেহ
শুধু চলিল রথ উন্মত্ত ভক্ত উচ্ছ্বাস ভেদি
    নীরব জগন্নাথেরে লয়ে

প্রাচীর ঘিরি না


তোমায় আমি
কাছের ভাবি
নিজের ভাবি না

তোমার কাছে
আশা রাখি
দাবি রাখি না

যে ঝরণাটা
নদী হবে
নামছে দেখো
ছুটছে দেখো

ওকে আমার
দেখেই শান্তি
আগল ঘিরি না

তৃপ্ত আমি
মুক্ত আমি
পূর্ণ আমি

একারই


দ্বিধা ছিল 
আছে
থাকবেও

চলা ছিল
আছে
থাকবেও

রঙ হল পাকা
মুছে দিলাম 
   নির্মম

পথ একাই ছিল
একারই ছিল
আছে
থাকবেও

একটানা


প্রসঙ্গ বদলাও 
চাঁদ তারা সূর্য ঋতু 
কেউ থাকতে পারে না ঠায়ে একটানা
ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ এরাও পারে না,
    হৃদয় পারে 
সে তো দিগন্ত 
   জাগরণ আর বিস্মরণের মাঝে দাঁড়িয়ে

অনিবার্য যেটা


বাকযুদ্ধে হেরে গেছি দু'জনেই

আমি ভাষা হারিয়েছি
সে হারিয়েছে উদ্দেশ্য

নির্বাক অপলক তাকিয়ে 
ঝুলন্ত পাহাড়ের কোলে

একটা একটা পাথর খসিয়ে যাচ্ছি খাদে
    সরে সরে দাঁড়াচ্ছি পরের পাথরটায়
নৈসর্গিক মাধুর্য মৌমাছির গুঞ্জনের মত

Subscribe to কবিতা