কবিতা

মন্দির প্রতিষ্ঠা হল

   ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হল না



হাথরাসকে বিচ্ছিন্ন করা হল

   সারা বিশ্বের ধিক্কার আটকানো গেল না
...

তোমাতে আমাতে

  পাশাপাশি দাঁড়ানোতে

এখনও অনেক ফাঁক


সে ফাঁক দিয়ে
...

নিস্তব্ধ রাত

পাহাড়ের কোলে একটা নদী

  আদর খেতে খেতে

   খেলতে খেলতে

    হাত পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে দৌড়াচ্ছে
...

অনেক রাত

  কলকাতা ভিজছে শ্রাবণের ধারাপাতে

ভীষণ জেদি মানুষ এক

  হাঁটছেন আপনমনে, দ্রুত পদে পথে।


আজন্মই অসম্ভব জেদ তার
...

আমার অস্তিত্বকে

কোনো বিশ্বাস, কিম্বা মতবাদের কাছে বন্ধক রাখিনি


আমার অস্তিত্বকে

আমার সামনে হেঁটমুণ্ড করেও দাঁড় করিয়ে রাখিনি অনন্তকাল,

   ছুটি দিয়েছি
...

অফিস থেকে ফিরে

মানুষটা কুয়ো থেকে জল তুলে

পা'টা ডলে ডলে ধুতো


তখন চারদিকে
...

তুমি স্লেট হাতে দিয়েছিলে

বলেছিলে,

“আমি যা লিখছি

তুমি হুবহু তাই লিখে যাও

আমি যা আঁকছি
...

আমি কোনো মানুষকে আমার আদর্শ মানুষ বলি না।

কেন বলব?

কেন তাকে তার সমস্ত অসম্পূর্ণতা থেকে বঞ্চিত করে,

তার সমস্ত ভুলগুলো থেকে সরিয়ে
...

বাঁশি যে বাজায়,
আর বাঁশি যে শোনে,
তারাই কেবল জানে
  বাঁশির ছিদ্রগুলো ওর
...

এই যে বিছানায় পাতা চাদরটা

লাল কালো রঙের চাকা চাকা ঘর

তার উপর কালো কালো লতাপাতা আঁকা

আসলে এদের কোনো মানে নেই
...