কেমন আছি
কেমন আছি, ততক্ষণ বুঝতে পারি না যতক্ষণ না কেউ জিজ্ঞাসা করে - কেমন আছেন?
হেসে বলি, ভালো আছি। আপনি?
উনিও হেসে বলেন, চলছে।
তারপর? দুজনেই কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করি, ভালো আছি। তারপর আবার ভুলে যাই কেমন আছি। আবার হাঁটি পরেরবারের প্রশ্নের দিকে - কেমন আছেন?
অবুঝ
তোমার সময়
তোমার সময় তোমার জন্মসূত্রেপ্রাপ্ত সম্পদ। উত্তরাধিকারে পেয়েছো মহাকালের থেকে। কারোর থেকে ধার করে পাওয়া না। তাই তা কখন কিভাবে তা ব্যবহার করবে, তা সম্পূর্ণ তোমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
কেউ সে সম্পদের ভাগ চাইতে পারে, দাবী করতে পারে না। আর তুমি তা দিতে না চাইলে, সে যদি কৈফিয়েৎ চায়, সে তো নিতান্তই জুলুম!
কেন এ হিংসা দ্বেষ
দেহ ও মন
১
------
অহংকার আর কোষ্ঠকাঠিন্যের কোথাও একটা মিল আছে। তা বলে এ বলতে চাইছি না যে, অহংকারী লোক মাত্রই কোষ্ঠকাঠিন্য হয় (আর যদি হয়ও বা, সে নেহাতই কাকতালীয়)।
ফুল তার সমস্ত সৌরভ
ফুল তার সমস্ত সৌরভ দশদিকে ছড়িয়ে দেয়। বলে, "তুমি মুক্ত, তুমি ভেসে যাও যেদিকে খুশী। তোমার মুক্তিতেই আমার প্রেমের সার্থকতা, তোমার মাধুর্যই আমার পরিচয়!"
বাউল এই গেল
বাউল এই গেল। বড় কঠিন একটা কথা খুব সহজ করে বলে গেল -
"জানবা, মানুষ মর্মে গভীর আঘাত পেলি কিসু একডা হয়!"
আমার আশেপাশে ডাঁই করা বইগুলোর স্তূপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস শুনলাম মনে হল।
"এ মানুষে সে মানুষ আছে রে"...
"ওরে বাইরে নয় রে, তোর বাসার ভিতরি বেঁধেছে ভীষণ গোলমাল"......
বেধেছে তো বাউল....দেওয়ালগুলো ধ্বসার অপেক্ষায়....সে ইঁটের হোক আর পাঁজরের...
বিভ্রান্ত কোরো না প্লিজ
ধরো তোমার কাছে একটা নীল কালির পেন আছে। অথচ আমার দরকার একটা কালো কালির পেন।
তুমি কখনো বোলো না, ইস, একটু আগেই আমার কাছে একটা কালো কালির পেন ছিল। কিম্বা বোলো না, তোমার পেনটাতে আগে কালো কালি পড়ত, এখন নীল পড়ে। অথবা, বোলো না, আরে আমার এই পেনটাও তো কালো কালিরই!
প্রিয় বইটা
প্রিয় বইটা হাতের নাগালে থাকলেই শান্তি, না হয় হলই না সারাদিন তার একটাও পাতা ওল্টাবার সময়। তবুও চোখের দেখাতেই মনের পাঠ, নীরব পাঠ।
প্রিয় মানুষটার বেলাতেও...নাই বা হল কথা বলার সময় সারাটা দিন। তবু থাক নীরব ছোঁয়া, চোখের ছোঁয়া....বিনা কথায় লক্ষ কথা বোনা..আকাশটার মত...
বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো
বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো। তুমি আলোর সংজ্ঞা জানতে চাইলে। আমি মুখ্যু, আলোর সংজ্ঞা কি ছাই জানি? না জানি সে কোন পথে আসে, কোন পথে দিয়ে যায়?