Skip to main content

কবি তোমার কল্পনা পরাজিত

আসলে সেদিন বস্ত্র জুগিয়েছিলেন ব্যাসদেব। কৃষ্ণ না। তাও দ্রৌপদীর না, কৃষ্ণের মান রাখতে। নয়ত আজ এত মন্দির, এত মহাপুরুষ, এত নীতি, এত শাস্ত্র, এত বাণী, এত তর্ক-বিতর্কের পরেও এত আতঙ্ক কেন?

কবি তোমার কল্পনা পরাজিত। বাণী থাক। আত্মা তো অমর। সে তো নাকি শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত চিরটাকাল। তবে ওই শুদ্ধ আত্মাগুলোকে পাপী দেহ থেকে মুক্ত করার শীঘ্র প্রয়াস পাক না আদালত! দেরি কেন? আমরা তো সব জেনে গেছি কবি!

দাও আশ্রয়

বাইরে ঘিরছে মেঘের অন্ধকার। মনের আকাশে কাটছে মেঘ। গরম চায়ের কাপ জুড়িয়ে ঠাণ্ডা। বুকের তলা হল উষ্ণ ফিরতি পথে কয়েক মাইল হেঁটে। কবে ভাসানো কাগজের নৌকা ধাক্কা দিচ্ছে পাঁজরের তলায়। সময়ের হাতলে হাত রেখে এদিক ফিরেছে যারা, তাদের হাতে মিশে আমার আঙুলের ছাপ।

ভীতু কোথাকার

সবাইকে যথোচিত যথাযথ যা যা দেওয়ার দিয়ে দেওয়ার পর, নিজের জন্য থাক কিছু ভুল করার স্বাধীনতা। ভুল করাটা আত্মিক কর্তব্য। সেরকম কিছু আন্তরিক অবশ্যম্ভাবী ভুলই মোড় ঘোরায়। সমাজ চিরকালই ভীতু, ব্যক্তি নয়। সমাজ মানে অভ্যাস, ব্যক্তি মানে ইচ্ছা।&nb

নৈতিকতার উৎস

নৈতিকতার উৎস সহানুভূতি আর সহমর্মিতা। যার থেকে বিচ্যুতির ভয় মনুষ্যত্ব হারানোর ভয়, অমৃতত্ব হারানোর নয়। 

মিল

কম্বল আর সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা মিল আছে। প্রথমটা রাতে ভয় পেলে ভূত দেখার আতঙ্কের হাত থেকে বাঁচায় আর সম্প্রদায় জীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে ভয় পেলে দল পাকিয়ে ঘেরাটোপ তৈরি করে বাঁচায়।

বুঝে নিতে হয়

পার্থক্যটা হল, লাইটস অন্, ক্যামেরা রোল বা মুভ কেউ বলে না। বুঝে নিতে হয়। 
নাইস শট্, কেউ বলবে না। ওটাও বুঝে নিতে হয়।

সব অধ্যায় তো আর উপসংহার নয়!

সময়, সময় সময় বেকুব বানিয়েছে। ভাগ্যও সময় সুযোগ বুঝে প্যাঁচ কষেছে আচ্ছা করে। নিজের হাতে লালিত-পালিত বিশ্বাসের মৃতদেহ সাদা চাদরে ঢেকে সৎকার করেছি, সেই লালন-পালন করা হাতেই। যে গাছের বীজ জেনে পুঁতেছি, জল দিয়েছি, সার দিয়েছি - অন্য গাছ হয়েছে, কখনও এমন বিষাক্ত...

দ্বন্দ্ব

রাগ যোগ - গভীর রাতের দ্বন্দ্ব। মানুষের চেতনার গভীরে এক গভীর দ্বন্দ্ব। যার চেতনার শিকড় যত গভীরে তার দ্বন্দ্ব তত তীব্র, তত নিষ্ঠুর, তত অমোঘ। অসীমের সাথে সীমার দ্বন্দ্ব। চিরকালের সাথে ক্ষণকালের দ্বন্দ্ব। সব কিছু পরিবর্তন হয়ে হয়ে যাচ্ছে। জন্মাচ্ছে বিনাশ পাচ্ছে। কিন্তু তার ভিতরে ক

প্রাণ-জল ব্যাখ্যা

ছাত্র বলল, সময় না হলে কিছু হয় না স্যার। সে আপনি যতই বলুন। 
বললুম, বটে। 
ছাত্র বলল, তা না তো কি? আচ্ছা আপনিই বলুন, নিউটন কি করে মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আবিষ্কার করেছিল? 
আপেল পড়ার গল্পটা আওড়ালাম। 

গেরুয়া বিলাসিতা

গেরুয়া বিলাসিতা। অবসরের ধর্মক্লাব - ইতি-উতি মঠ মিশন-আশ্রম। ঈশ্বরের মত অনেক ঈশ্বরের পাথুরে মূর্তি। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের পূণ্যযাপন। ঈশ্বর খোঁজা খোঁজা খেলা। আগাম সিক্যুরিটি ডিপোজিটের ব্যবস্থা। 
Subscribe to চিন্তন