Skip to main content

যা পালা!

একবার হল কি, তখন খুব ছোটো আমি, তো বোন আর ভাইকে নিয়ে সপ্তমীর দিন সন্ধ্যেবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি। বলা বাহুল্য তারা আরো ছোটো।

আশা

আমার ভালোবাসা, স্বপ্ন, আশা সব ব্যর্থ হয়েছে। তবু কেন নিজেকে সার্থক ভাবি জানো?

সুর

কৃষ্ণ ঠুমরি থেকে শুরু করে কত যে চটুল গানে আছেন, সে এক আশ্চয্যি ব্যাপার। কৃষ্ণকে বাদ দিলে ভারতীয় সঙ্গীতের এক বিরাট অংশের উপাদান হারিয়ে যাবে। কি নিয়ে গান বাঁধা হবে? প্রেমকে কোন আয়নায় দেখা হবে? সে তো দেখা হবে বৃন্দাবনে, যমুনায়, মায় নদীয়াতেও।

ভালোবাসাকে নাও

অভিমান মানে কি? নিজেকে বঞ্চিত ভাবার সুখ। সে ভালো নয়। যদি ভালোবাসো তবে সুখের কথা দূরে থাক। দুঃখকে এক একবার দেখে যেও বিছানায়, জামাকাপড়ে, পর্দায়, বাসনে, আসবাবে; সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে।

আশ্রয় 

আশি ছুঁই ছুঁই মানুষকেও দেখেছি মাকে খুঁজতে। মায়ের অভাবকে অনুভব করতে। মামু ছোটোবেলায় একটা কার্টুন দেখত, ডোরেমন। মাঝে মাঝে আমিও দেখতাম। সেখানে একটা এপিসোডে দেখেছিলাম, ডোরেমন টাইম মেশিনে বা ওরকম কিছু একটা করে নোবিতার ঠাকুমাকে এনে দিয়েছে। নোবিতার বাবা অফিস থেকে ফিরে মাকে দেখতে পেয়ে কি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে উঠল। অফিসের জামা পরেই মাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কত সুখদুঃখের কথা বলতে শুরু

বিছানার চাদর

".. মৃত্যুর জন্য তো পথ" ~ রবীন্দ্রনাথ

 

     এমনকি বিছানার চাদরেও তোমার না থাকার গন্ধ লেগেছিল, তুমি কি মেখে এসেছিলে? 

কুয়ো

ছোটোবেলায় একটা স্বভাব ছিল দু পায়ের বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে কুয়োর মধ্যে ঝুঁকে দেখা। কুয়োটা নিয়ে আমার মনে যে কি রহস্য ছিল সে বলার নয়। মাথা ঝোঁকালেই জলে আমার মাথার ছায়া। একটা ঢিল ফেলে দিলেই মাথা দুলে উঠল। মাথার পিছনে কখনও নীল আকাশ, কখনও সাদা-কালো মেঘের আকাশ। রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, কুয়োর নীচটা কত অবধি গেছে?

তুঁহু মম

যখন হ্যাঁচকা টানে বুকটা আকুপাকু করে, তখন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কত কত মেঘ এলো গেলো। আকাশ অনাসক্ত। তার নীল রঙে না সাদা দাগ, না কালো। আকাশ কি মিথ্যুক! কি কপট!

     যখন তার হাসি, চাহনি, কি হাতের স্পর্শ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়, তখন সে বাথরুমে গিয়ে কলটা খুলে কান্না গিলতে চায়। জলের আওয়াজ তাকে বলে, বাষ্প হ। মেঘ হ। উড়ে যা। সময়কে ধরে রাখিস না শিকলের মত। হাত কাটবে। রক্তারক্তি হবে। জল বড় চতুর।
...

বাসা

পাখি চারদিক থেকে যা পায়, খড়কুটো, একটা প্লাস্টিকের সুতো, একটা দড়ি... সব জমিয়ে সে আবর্জনার স্তূপ বানায় না, বাসা বানায়। সেখানে সে ডিম পাড়ে। বাচ্চাদের বড় করে। তারপর সব ছেড়ে চলে যায়। 

    সেটাই বলছিলাম, মনের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে লাভ কি? অভিমানের পাহাড় বানিয়েই বা কি লাভ? 
...
Subscribe to চিন্তন