ফুলঝুরি
দেরি ছিল আসার। বাঁধানো উঠানের ধারে দুটো কলাগাছ। তার পাশে একটা বড় জামগাছ। তাতে মৌচাক হয়েছে বেশ কয়েকমাস হল। খুব কথা বলত ছোটবেলা থেকে, তাই বাড়ির লোক নাম রেখেছিল, ফুলঝুরি। বর্ধমান থেকে কিছুটা ভিতরে এক অখ্যাত গ্রামে জন্ম ফুলঝুরির। এখন বয়স চৌষট্টির দোরগোড়ায়। শরীরে গড়ন বেশ মজবুত এখনো। চোদ্দ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে এল রাণাঘাটে। এটা ২০১৪।
দ্বিমেরু
আদি কথা
----------
বেলো যে মিথ্যা বলত তা নয়। মিথ্যাকে সত্যি ভেবে বিশ্বাস করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ওর মধ্যে। মিথ্যাকে সত্যি জেনে বিশ্বাস করা আর সত্যি মেনে বিশ্বাস করার মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রথমটা অজ্ঞতা। দ্বিতীয়টা হয় দুর্বলতা, না হয় চালাকী।
বাসন্তীদেবী
ওদিকে
নরহরিবাবু প্রায় তিরিশ বছর হল ইছাপুর থেকে ডেলিপ্যাসেঞ্জারী করছেন।ইদানীং একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। উনি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারছেন না, ঠিক কি হচ্ছে।
উনি বাড়ি ফেরেন প্রায় রাত আটটার কাছাকাছি। স্টেশানে নেমেই কোনো একজন অপরিচিত মানুষের সাথে উনি কোনো পরিচিত মুখের আদল পান। শুধু তাই না, সেই পরিচিত মানুষের সাথে নরহরিবাবুর দেখা হবেই, সেদিন না হলে পরের দিন তো অবশ্যই।
আলোর গন্ধ
প্রাণানন্দবাবু রিট্যায়ারের পর পরই পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফিরে ইস্তক ওনার মধ্যে উনি একটা বিশেষ পরিবর্তন খেয়াল করছেন। উনি এখন আলোর গন্ধ পান। প্রথম প্রথম ভাবতেন বুঝি অন্য কিছুর গন্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। এখন দেখছেন, তা না। সকালবেলা সূর্য্যের আলো জানলা দিয়ে ওনার বিছানায় এসে পড়লেই উনি সারা ঘর শিউলির গন্ধ পান। জ্যোৎস্নারাতে ছাদে বসে থাকতে থাকতে জুঁই-এর গন্ধে বিভোর হয়ে ওঠে ওনার মন। সব গন
সাজের বাক্স
...
সহযাত্রী
...
প্রতীক্ষা
...
অ্যাঁ!
...
পথ
...