Skip to main content

গোলাপের রঙে প্রলাপ


ছেলেটার ফুসফুস থেকে হাওয়া বেরিয়ে ভোকাল কর্ড কাঁপিয়ে কিছু শব্দ তৈরী করছে। সন্ধ্যের নির্জন রাস্তা। শব্দগুলো হাওয়ায় ভেসে ভেসে মেয়েটার কুন্তল সরিয়ে কানের ভিতরে দিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটার হাতে ছেলেটার এক হাত। হরমোনে স্নায়ুতে আলুথালু প্রেম। ঘাম মানে প্রেম। দ্রুত শ্বাস মানে প্রেম।

বালি

দু'হাতের থেকে সময়গুলো বালির মত ঝরে ঝরে পড়ে যাচ্ছে। বালি? না বালি তো তবু দু-এক কণা আটকে থাকে হাতের ভাঁজে। হাওয়ার মত উড়ে উড়ে যাচ্ছে সময়।

ঝাপসা

উবু হয়ে, লুঙ্গিটাকে গুটিয়ে হাঁটুর কাছে এনে, বসে আছেন। বয়েস ষাটের আশেপাশে হবে। রাস্তার পাশে একটা পাঁচিলের ধারে বসে। খেটে খাওয়া শরীর ছিল এককালে দেখলেই অনুমান হয়। বিকেলবেলার পশ্চিম ঢলা রোদ ওনার ভাঁজ পড়া মুখে।
 

এই যে কালো মাটির বাসা


গাছটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের শিকড় খুঁজছে। তার চারদিকে অনেক গাছ। তাদের শিকড়-বাকড়ও মেলা। মাটির উপর তাদের গতিপথের রেখা। কিছু ঢেউ খেলানো, কিছু ঢিবির মত, কয়েকটা আবার তীরের মত সোজা।

হঠাৎ বৃষ্টি

অনেকদিন পর রোদ উঠেছে দেখে, বউটা কাচা কাপড় জামা মেলবে বলে ছাদে উঠল। ছাদে কাপড়গুলো মেলতে মেলতেই কোথা থেকে আকাশ জুড়ে এল ঘন কালো মেঘ করে।
       সে অবাক হল। তার হাসিও পেলো। ভাগ্য বদলায়নি একটুও! সেই রাতটা মনে পড়ল। যার সাথে পালাবে বলে এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, তার সেই প্রেম, স্বপ্ন- সে আসার আগেই, আগের ট্রেনে হয়েছিল দেশান্তর। 

আবছায়া

(কঠোরভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)

মুক্তি


(আজ গুরুপূর্ণিমা। সেই সব মানুষের চরণে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই, যাঁরা আলো জ্বালেননি, বরং নিজেই আলো হয়ে জ্বলে, মানুষকে পথ দেখিয়েছেন যুগ যুগ ধরে)

Subscribe to অনুগল্প