Skip to main content

বিলাসী

 

---
কিছুটা হলেও টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিল বিলাসী। বয়স চল্লিশের আশেপাশে। বাড়ি মুকুন্দপুর। হরিনাভীতে স্বামীর ভিটে। মেয়েটাও তার সাথে কাজে বেরোতো। গীতা। উনিশে পড়েছিল এই মাঘের শেষে। বিলাসী চারটে বাড়ির ঠিকে ঝি-র কাজ করত। তার স্বামী মদন ভাগের চাষ করত। ছেলেটার বিয়ে দিয়েছে গত শ্রাবণে। নেতাই আর তার বৌ কামিনী। নেতাই চব্বিশে পড়েছে। আর কামিনীর বয়স ওই গীতার মতই হবে।

বিন্দু

(এটা গল্প, আবার গল্প না। ভারতের প্রাচীনতম দর্শনের যে দিক নির্দেশ, তাকেই আমার বোধের ভিতর দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি)

মেঘ-মল্লার



---
 
বাসে ওঠার পর থেকেই মাথাটা ঝিমঝিম করছিল দিব্যেন্দুর। গা বমি বমি করছে। সকাল থেকে এত দৌড়াদৌড়ি হচ্ছে যে খাওয়ার সময় পায়নি ঠিক মতন। ঘড়িতে দেখল, বেলা সাড়ে দশটা।

ছেঁড়া সুতো

রাতুল যেভাবে বাড়ি ফিরল সেই জানে। তুমুল কালবৈশাখী শুরু হল সন্ধ্যে থেকে। রাতুল তখন বাসে, শিয়ালদায় আসছে। রাতুল ডেলি প্যাসেঞ্জারী করছে তা প্রায় পাঁচ বছর হল। কি ঝড়, কি ঝড় রে বাবা! আগরপাড়ার কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ল। তারপর হেঁটে, অটোতে, বাসে কোনরকমে যখন খড়দায় পৌঁছাল, তখন রাত সাড়ে আটটা। বাড়িতে ঢুকেই রাতুলের মা বললেন, শীগগিরি মাথায় জল ঢাল, না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে।

সকাল


---
ছেলেটার অনেক ক্ষোভ। প্রথম ক্ষোভ নিজের নাম নিয়ে। শিবদাস ওরফে শিবু। এই নাম একজন ২০১৪ তে কলেজের থার্ড ইয়ারে পড়া ছেলের হয়! শিবু নামটা তাও চলে। তাই স্কুলে, টিউশানে, ফেসবুকে, কলেজে তাকে শিবু বলেই সবাই চেনে, দু'একজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া। 

পলাশ ও জাল

ছিন্ন পরিত্যক্ত মাকড়সার জাল। কুয়াশা ঘেরা বসন্তের সকালে সে চোখ মেলে চেয়ে দেখে, তার পাশে ফুটেছে পলাশ। কি তার রূপ, কি তার রঙ! ছিন্ন জাল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ পলাশের দিকে। সম্মোহিত তার দৃষ্টি। হঠাৎ ভ্রমরের গুঞ্জনে তার ঘোর ভাঙল। ভ্রমর এসেছে পলাশের ঘুম ভাঙাতে। 

বিজয়িনী

বাগানে নানান ফুলগাছ। হঠাৎ করে কোথা থেকে একটা ক্যাকটাস গাছ জন্মালো। অন্য গাছেদের ভুরু কোঁচকাল, নাক উঁচু হল। বেশ কিছুদিন কাটল। সব গাছে ফুল ফুটল। গোলাপ, রজনীগন্ধা, জুঁই, জবা আরো কত কি। শুধু ক্যাকটাস থাকল ফুলহীন। অন্য ফুলগাছেরা ক্যাকটাসের দিকে তাচ্ছিল্যভরে তাকালো। বলল, শুধুই কাঁটা? আহা বাছা থাকো কি করে! ক্যাকটাস হাসল শুধু।

টপ-আপ


-হ্যালো, সায়ন্তনী?
-বলছি
-আমি কুশল
-হুঁ
-আমার খুব জ্বর
-এটা বলতেই কি ৬ মাস তেরোদিন বাদে ফোন করলি?
-তোর এতটা মনে আছে!
-ন্যাকামো না করে, কেন ফোন করেছিস বল
-আমার খুব জ্বর
-শুনলাম তো। আমি ডাক্তার নই, নার্স নই, না তো আমার বাবার ওষুধের দোকান আছে।

Subscribe to অনুগল্প