Skip to main content

বিষয়ীর দেবস্বপ্ন

লুচ্চকবাবু কালরাতে স্বপ্ন দেখে কেঁদেছেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলেই ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন। কথা বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এসে বলেছেন ঘুমের ঘোরে তীব্র মানসিক আঘাত পেয়ে শিরা-ধমনী-স্নায়ু গিট্টু পাকিয়ে গেছে।
        লুচ্চকবাবু আর কয়েক ঘন্টা টিকলেন। যতক্ষণ টিকলেন ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে, 'উঁ উঁ' করে কিছু বলতে চাইলেন। ওনার স্ত্রী, দশ ছেলে, দশ ছেলের বউ, চল্লিশটা নাতি-নাতনি, পাঁচশো দাসদাসী ভাবলে, কত্তাবাবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে।
...

মরিব, মরিব সখী

মরিব, মরিব সখী, শৌচেই মরিব
   এমন হাড়-হিম করা বারি হে প্রিয়
      কেমনে শ্রী-অঙ্গে দিব..
কেমনে দিব...আহা, এমন হাড়-হিম করা
   কলমুখাধারা কেমনে অঙ্গে ঢালিব..

ডারউইন

      আচ্ছা চার্লস ডারউইন কি কর্মফলে বিশ্বাসী ছিলেন? না, ধরুন বুদ্ধের জাতকের গল্প উনি পড়েছিলেন কিনা তো আমরা জানি না, যদি পড়তেন, তবে কি বিবর্তন তত্ত্বের একটা নতুন দিশা পেতেন? 
        "Origin of species by means of Karma" - কি লেখা হত না? 
...

অকাল বর্ষণ

হেরম্ব বিশ্বাস মহাশয় মস্তকে ছাতা, গায়ে হাফ সোয়েটার নিয়ে গ্রীষ্মের ঘামের ন্যায় স্নাত হইতেছিলেন। রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াইয়া ইতিউতি চাহিয়া যাহা খুঁজিতেছিলেন, তাহা হইল একটি বিশুদ্ধ প্রস্রাবাগার। বৃষ্টি পড়িলে তাহার রেচনাবেগ কিঞ্চিৎ বর্ধিত হয়। লোকমুখে শ্রুত হয় তাহার বাল্যকালে বর্ষাকালে আশেপাশের গ্রাম হইতে গোযান করিয়া কাঁথা আসিত।

শব্দরূপ আর ধাতুরূপ

একটা সংস্কৃত বই পড়তে গিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ল।
        আমাদের ক্লাস সেভেন আর এইটে সংস্কৃত ছিল। শব্দরূপ আর ধাতুরূপের চক্করে আমাদের তো একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় অনেকেই বেঞ্চে বসে থাকার যোগ্যতা হারাতো। সটান বসার বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে নরো নরৌ নরাঃ আওড়াতে হত।

বীমাবিপত্তি

আজ বলে না। নরহরিবাবুর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা মা কালীর নামে একটা জীবনবিমা করেন। ডেট অব বার্থ নিয়ে একটু সমস্যা আছে, কিন্তু নরহরিবাবুর শালা সুড়ঙ্গ সিকদার সে ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন। সুড়ঙ্গবাবু পেপারমিলে কাজ করেন। সাইডে হাত দেখার ব্যবসা থুড়ি সাধনা। খোদ কামাখ্যায় গিয়ে রপ্ত করেছেন, সুড়সুড়িবাবার কাছে। তিনিই তার বলাইচাঁদ নামটা এপিঠ-ওপিঠ করিয়ে সুড়ঙ্গ সিকদার করেছেন।

অবৈধ

'অবৈধ' নামে একটা সিনেমা বেরিয়েছিল, ২০০২ সাল হবে। টিভিতে দিয়েছিল। বেশ সিরিয়াস সিনেমা। রজত কাপুর, দেবশ্রী আর খুব সম্ভবত চিরঞ্জিত ছিলেন। গল্পটা খুব একটা মনে নেই আমার। তো যা হোক, সিনেমাটা বেশ কিছুটা হওয়ার পর গেল কারেন্ট চলে। এদিকে গল্পটার এমন একটা জায়গায় কারেন্ট গেল যে নিজের মাথা

লাইব্রেরী

এই সময়টায় লাইব্রেরীতে বড় কেউ একটা ঢোকে না। এখন ক'টা হবে? চারটে দশ-টশ হবে। ওই তো বলরাম হাইস্কুলের ঘন্টা পড়েনি এখনও। এখন বিলুবাবু পেপার পড়ছেন।
Subscribe to রম্যরচনা