Skip to main content

 

মেয়েটা খেলতে খেলতে রাস্তায় বল কুড়াতে গিয়েছিল। আর ফেরেনি।

বছর তিরিশ পর মেয়েটা ফিরেছিল। রাস্তা চিনতে না পেরে, বাড়ি চিনতে না পেরে বিহ্বল। ঘুরেই যাচ্ছিল। একে তাকে জিজ্ঞাসা করছিল। কেউ চেনে না। কারোর মনে নেই।

হঠাৎ দাঁড়াল। পাগল বুড়িটা রাস্তার ওদিক থেকে এদিকে, তার দিকে ছুটে আসতে দেখেই দাঁড়ালো। একজন বলল, ওকে রেখে ওর স্বামী গিয়েছে ছেড়ে, “অন্য মেয়েছেলে” নিয়ে। অনেককাল আগে।

মেয়েটা বলল, চলো।

মা বলল, তোর বাবা।

মেয়ে বলল, সবাই ফেরে না।

মা বলল, তবু….

শেষদিন অবধি কারোর সঙ্গে দেখা হল না কারোর। আমৃত্যু সবাই অপেক্ষা করেছিল, একসঙ্গে ভোরে ওঠার ঘুম থেকে, এক ছাদের তলায়।

সে ভোর অনেক ভোরের ভিড়ে হারিয়ে গেল। ফিরে আসেনি, সেও।