Skip to main content

সব আছে 

হাসি মানে সুখ নয়
হাসি মানে
   নেই ভয়, নেই ভয়
গোলমাল, অনিষ্ট
      সুসময়ে অসময়
সব আছে, সব আছে 
 তবু, ভয় মানে অপচয় 

(ছবি Prosenjit Aich)

প্রতিদিন

প্রতিদিন আমার একটা করে ঘোর ভেঙে যাক
 
প্রতিদিন আমি নতুন করে বুঝি
আমার বোঝার বাইরে সংসারে যা আছে
     তা অসীম
 
প্রতিদিন আমি নিজের কাছে ফিরি
ধুলোকাদা মেখে
      নিজেকে বলি, এই তো বেশ
        একটা বুদবুদ হারিয়ে গেলে
          সাগরের কিছু আসে যায় না

জীবন হাঁটুক

যে যেখানে থাকুক
ভালো থাকুক
খুব লড়াই দরকার নেই তো
দরকার নেই হুড়োহুড়ি করে উপরে ওঠার
সবাই যেখানে আছে
শান্তিতে থাকুক। সুস্থ থাকুক। 
একে অন্যের সঙ্গে থাকুক। 
আর কেউ না থাক
    অবশ্যই নিজের হাত নিজে ধরুক,
নিজের চোখ নিজে মুছুক।

সূর্য ওঠে ভেসে

মৃত্যু নয়
মৃত্যুশোক বারবার ফিরে আসে 

যে নেই
সে যে আমারও খানিকটা নিয়ে নেই 
এ সত্যটা জলে ডোবা সিঁড়ির মত ভাসে

পুরোনো মুখের পাশে বসে নতুন মুখ
কুমোরপাড়ায় কি বিসর্জিত প্রতিমা ফিরে আসে?

সমে এসে মেলে

ফিরে আসার পর কি কি মনে থাকে?

মোড় আর গলি
গোছানো কিম্বা অগোছালো ঘর
সদ্য রান্না শেষ হওয়া রান্নাঘর 
বাজারদোকান, যানজট
কিছু হাসি, কিছু ছলছল চোখ
কিছু উদাসীন গাল, কিছু অত্যুৎসাহী ঠোঁট

পাহাড়, নদী, সমুদ্র?

নাকি ঘর হারালাম?

কথা বলতে বলতে মনে হল, 
যা বলছি, 
     সে আমার কথা নয়। 

থেমে গেলাম। 

তোমার চোখের উপর চোখ রাখলাম। যেন কান রাখলাম শাঁখের বুকে। সমুদ্রহীন সাগর গর্জন। 

বলতে গেলাম, 
    ছেড়ে যেও না। মরে যাব। 

তখন তুমি অনেক দূরে। 
কখন গেলে? 
    মিলিয়ে যাচ্ছ ধীরে ধীরে।

বাইশে শ্রাবণ

বাইশে শ্রাবণ মানে
নিভু নিভু মনুষ্যত্বের শিখাকে
আরেকবার দু'হাতে 
   আগলে রাখতে চেষ্টা করা
সব তাপ সহ্য করেও

ঘাসফুল

স্মৃতি। 
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
  সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
    কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!

নীলকন্ঠ যখন নটরাজ হয়

বরং জনগণকেই বলো নীলকণ্ঠ
কৈলাসে নয়
বরং তাকিয়ে দেখো
আশেপাশে 
দুর্নীতিতে, ভ্রষ্টাচারে
 ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে
    যে ছেলেটা মেয়েটা
       তবু রাস্তায় নামছে
         ছুটছে,
         স্বপ্নগুলোকে

Subscribe to কবিতা