প্রহসন
১
===
প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র
বলো তুমি কার?
যাদের পাছায় নরম গদি?
নাকি যারা ধুলোয় একাকার?
প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র ডাকে মায়
প্রজাতন্ত্র লুটে কারা খায়?
গুলি লাঠিতে দাঁড় বায়
প্রজাতন্ত্র তুই ঘরে আয়
কৃষক গেল অধিকার চাইতে
শাসক ঘরের কূলে
প্রাণ নিয়ে গেল নিষ্ঠুর শাসক
ভরসা নিয়ে গেল তুলে
চুপ করে গেলাম
নিশ্চিন্ত একটা জীবন।
ঈশ্বর। গুরু। ধর্ম। অর্থ। আইনকানুন। বিনোদন।
কেউ দিতে পারল কই?
বরং আরো গোলমাল করে দিল সব,
আরো জটিল।
সব শেষে মন জিজ্ঞাসা করল
আসলে কি চাইছিলে?
কিসের জন্য এত দৌড়াদৌড়ি?
বললাম, নিশ্চিন্ত জীবন।
আমি যে দেখতে শিখিনি
দুয়ার তো আমারও ঘরের ভেঙেছে
ঝড়ের রাতে
রবীন্দ্রনাথ
আমারও ঘরের আলো নিভেছে
হয়েছে সব কালো
রবীন্দ্রনাথ
নাকি অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?
শুনলাম তোমাদের নাকি অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?
কেন বলো তো?
তোমাদের নাকি একে অন্যের উপর প্রচুর অভিযোগ!
হয় তো সে সব সত্যি
ও খিদে পেলেই খাবে
ও খেতে ইচ্ছা হলে আপনিই খাবে...
শুশ্রূষা
শুশ্রূষা শিশুর হাসি
শুশ্রূষা তারায় তারায়
শুশ্রূষা তোমার গানে
শুশ্রূষা নোঙর তোলায়
শুশ্রূষা সবুজ ঘাসে
শুশ্রূষা গাছের ছায়ায়
শুশ্রূষা চোখের জলে
শুশ্রূষা বর্ষা ধারায়
শুশ্রূষা বিরাগী মনে
শুশ্রূষা পথের ধুলায়
শুশ্রুষা আমায় ভুলে
আমাকেই খুঁজে ফেরায়
শুধু এই
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
ঘটনাটা শুধু এই
শুধু এই
হ্যাঁ ঘটনাটা শুধু এই-ই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
আর কিছু না
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
শুধু এই
শুধু এই
শুধুই এই
আমার বিবেকানন্দ
বিবেকানন্দকে প্রথম দেখি
প্রাইমারি স্কুলে পড়তে
সেই যে বস্তির লোকটা
কি একটা দুর্ঘটনায় মারা গেল
তার বুড়ি মা আমাদের বাড়িতে ভিক্ষা করতে এলো
ওর পিছনে পিছনে এসে দাঁড়ালো বিবেকানন্দ
কিছু বলছিল না
শুধু বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল
জেগে থাকো
সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম
যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম
বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব
ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল
ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা
চাতুরী
কোনো অনুকম্পায় না
বড় কাঙালপনায় আমার শালটা
তোমায় গায়ে জড়াতে দিয়েছিলাম
মহত্ব না,
এ চাতুরী
শুধু সুবাসটুকু চুরির আছিলায়
ভাগ্য বরাদ্দ সময় পেরিয়ে
আরেকটু কাছে চেয়েছিলাম