নাম অপরাধ
যে নামের মাহাত্ম্য
প্রাচীন ঋষিচিত্ত উপলব্ধিগামী
আত্মার মুক্তিহেতু জপিবারে
আছিল বিধান
শুশ্রূষার আশায়
মাত্র কদিনের পরিচয়
মাত্র এই কদিনেই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম
বন্যায় গাছপালা বাড়িঘর
ভেসে যেতে দেখেছি টিভিতে
এইবার নিজেকে ভেসে যেতে দেখলাম
হৃদয়ে
সারাক্ষণ কেমন যেন
মন খারাপ খারাপ লাগা
যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বন্ধ পাখার দিকে তাকিয়ে
সহবাসী নয়
কোনো একদিন আমিও শিখে যাব
যখন তখন
যেখানে সেখানে
এক গাল হেসে জিজ্ঞাসা করতে আপনাকে,
"কেমন আছেন?"
যেন আমার ভালো থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বাতুলতা
আমি যার মধ্যে
সারারাত জেগে কাটালাম
তোমার জন্য
যদিও তুমি সঙ্গে ছিলে না
ভোর হল
ক্লান্ত শরীরে
অভিমান হল
বৃথা কার জন্য কাটালাম
সারাটা রাত, জেগে?
মন বলল,
আমি যার মধ্যে মিশেছিলাম
তুমি ভাবলে নিষ্ঠুরতা
আসলে ভয় আমারই
হাত বাড়ালে যদি
হাতটা না ধরো
আর হাত না বাড়ালে
যদি অভিমান করো
এ দ্বিধায় আমি
দ্বিখণ্ডিত
তুমি ভাবলে
নিষ্ঠুরতা
অল্প
অল্প অল্প সুখ। অল্প অল্প ক্ষোভ। অল্প অল্প সাধ। অল্প অল্প স্বপ্ন। অল্প অল্প রাগ। অল্প অল্প প্রতিশোধস্পৃহা। অল্প অল্প অসহায়তা। অল্প অল্প বিষণ্ণতা। অল্প অল্প মহত্ব।
এরপর একটা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু।
কোন ভয়টা বেশি?
যা বলার ছিল
বললাম না
তুমিও বললে না
কথা শেষ হল
অসম্পূর্ণ কথাগুলো
জালে আটকানো পোকার মত
দপদপ ছটফট করছে
বুক মাথা জুড়ে
উড়তে চাইছে, বাঁচতে চাইছে
ভয় পাচ্ছ
তুমিও
আমিও
কোন ভয়টা বেশি ?
উড়ে এসে ঠোঁটে বসার?
না মৃত হয়ে বুকে চেপে থাকার?
যা চাই
সবাই কি বিচিত্র বিচ্ছিরি একটা খেলা খেলছে
পাইয়ে দেওয়ার
সবাই অনেক কিছু দিতে চাইছে
রাস্তা, আলো, জল, টাকা, সুখ
এ সব তো চাই আমরা
কিন্তু কেউ ওদেরকে গিয়ে বলুক
আমরা শুধু এইগুলোই চাই না
আমরা চাই যাকে শাসনের ভার দিয়েছি
সে বাধ্য হোক শুধু নিজের বিবেকের কাছে
আমরা চাই আস্থা রাখতে
শিক্ষা স্বাস্থ্য বিচার ব্যবস্থায়
যখন তোমরা
যখন তোমরা হাততালি দাও
যখন তোমরা বাহবা দাও
তখন তোমরা
বসুদেবায়কুটুম্বকম
যখন তোমরা নিন্দা করো
যখন তোমরা আঙুল তোলো
তখন তোমরা মেরীর ছানা
দুষ্টু ভীষণ, বুদ্ধি কম
জানতে পারে না
নার্সিংহোমের বিলের
ম্যারাথন রেস
কোনো রকমে থামিয়ে,
সরকারি হাসপাতালে শিফট করা হয়েছিল,
তারপর বার্নিংঘাটে
ওয়ালেট থেকে
ওই ক’টা মাত্র টাকা বার করার সময়