Skip to main content

নিষ্ঠুর

মেঘলা আকাশ

তবু
 "নির্ঘাত বৃষ্টি হবে" 
       শতাব্দী প্রাচীন
           বটবৃক্ষ আর বলে না

শান্তি আরেক অধ্যবসায়

হিংসা তোমায় পুড়িয়ে যাচ্ছে অহরহ 
ঘৃণা তোমায় শান্তি দিচ্ছে না একদণ্ড
ঈর্ষাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করে
      তলিয়ে যাচ্ছ তারই চাপে
                অন্ধকারে 
...

গুহা

ভেবেছিলাম
একটা অন্ধকার গুহা বানাব
তারপর সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে
সেখানে নিয়ে গিয়ে বাঁচব একা
    নিশ্চিন্তে

দীর্ঘশ্বাস

যে আকাশ হতে পারে
সে আপনিই পারে

যে নীড় হয়ে ওঠে
সেও আপনিই
...

এসি

মেয়েটার ঘমার্ক্ত শরীর  ভিজে জামা বিশ্রীরকম    অসভ্যের মত  কিভাবে বসবে বুঝে উঠতে পারছে না এই রোদে এতটা সাইকেল চালিয়ে আসা তো!

তুমিও কি ছিলে?

ভেসে এসেছিলে তখন অবেলা, ভেজানো দরজা অস্পৃশ্য তালা ঠোঁটে লেগেছিল সুখ আমার মত তুমিও কি ছিলে উন্মুখ?

ক্ষুব্ধ ভালোবাসা

ডাক্তার না নিন্দা করল, বিদ্রুপ করল, ঠাট্টা করল আত্মীয়স্বজনেরাই যখন মেয়েটার কলেজে পড়ার বয়স হল, অথচ সে স্কুলছুট, সমাজছুট হয়ে একলা হল তার অসংলগ্ন জগতের গুহাঘরে ডাক্তার না। বিজ্ঞান না। ভালোবাসা না। সহানুভূতি না। এক মুঠো অন্ধবিশ্বাস টিকটিকির মত মেয়েটার ছবিটা পাহারা দেয় ...

কিন্তু বিবাগী হবে না

নিজেকে শোষিত হতে দেওয়া ছাড়াও
তার আরো অনেক কিছু পৃথিবীকে দেওয়ার ছিল
সেদিন তার শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস পড়েছিল
...
Subscribe to কবিতা