হাল হকিকৎ

প্রথমত, কাগজপত্রে স্বীকার করতে চাইছেন না, এটা ধর্ষণ।

   দ্বিতীয়ত, বলছেন ওরকমভাবে অন্ধকারে না পুড়িয়ে দিলে বাড়ির লোক নাকি খেতে পারত না ওই দৃশ্য দেখলে। মানে পোস্টমর্টেমের পর যা নাকি হয়েছিল। যাতে প্রমাণ লোপাট করলেন।

   তৃতীয়ত, বাড়ির লোকের উপর কার্ফু চালালেন দু-তিন দিন ধরে, এই মানসিক অবস্থাতেও।
...

বারবার একটা কথা চোখে পড়ছে, ধর্ষণ আর যৌন চাহিদা। একটু আগে মার্কেণ্ডেয় কাটজু লিখলেন ধর্ষণের সাথে বেকারত্বর যোগাযোগ। ওনার যুক্তিতে মানুষ চাকরি না পেয়ে বিয়ে করতে না পেরে নাকি ধর্ষক হচ্ছে। আমি জানি না এরকম কোনো স্ট্যাস্টেস্টিক্স
...

আইসিইউতে লড়া শেষ। এতক্ষণে আমরা নেটিজেনেরা স্ক্রল করতে করতে জেনে গেছি নিশ্চয়ই যে মেয়েটা মারা গেছে। উনিশ বছর। দলিত। স্পাইনাল কর্ডটা ভাঙা ছিল। জিভটা কাটা ছিল। আরো ডিটেলিংস ছিল, পড়েওছি। লিখলাম না।
...

সেদিন যে মৃত্যুগুলো একের পর এক ঘটে যাচ্ছিল, চুপ করে ছিলাম। রেললাইনে ছিন্নভিন্ন শরীরে রুটির টুকরো পড়ে এদিকে ওদিকে। চুপ করে ছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে, ফিরতে ফিরতে যখন অনেক মানুষ রাস্তায় অনাহারে, ডিহাইড্রেশানে, দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছিল চুপ করে ছিলাম। সারা পৃথিবী
...

আমার জীবনে মহালয়ার সকাল শুরু হয় হাওড়ায়। যেহেতু জন্ম সেখানে। তারপর কাঁচরাপাড়ায়। বাবার রেলের চাকরির সূত্রে রেলকলোনীতে। সে ছিল সুরের প্রভাতী মহালয়া।

কিন্তু মহালয়ার সকাল অ-সুরের আতঙ্কে পরিণত হল হালিশহরে আসার পর।
...

"একটা মেয়েমানুষের এতটা বাড়াবাড়ি। যা হবার তাই হয়েছে। বেশ হয়েছে।"

সবাই কেমন চুপ। যারা রজস্রাবে ছবি এঁকেছে, তারা চুপ। যারা স্যানিটারি ন্যাপকিনে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা চুপ। আরো কারা কারা সব প্রগতিশীল নারীবাদীরা চুপ। টলিউড চুপ। আরো কত কত কলম চুপ
...

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে তখন। আর তখনই মনের মধ্যে ভেসে এলো পঙ্কজ মল্লিকের গলা, 'সঘন গহন রাত্রি।'    ইউটিউব খুললাম। 'সঘন গহন রাত্রি' শোনার পর শুনলাম 'ওগো স্বপ্নস্বরূপিনী'।
...

উচ্চাঙ্গসংগীত শোনার প্রথা ছিল না বাড়িতে। কি করে হাতে এসে পড়ে মিউজিক টুডে থেকে বেরোনো ভৈরব, উপরে লেখা পণ্ডিত যশরাজ। রেল কলোনির ফাঁকা ফাঁকা মাঠ, বড় বড় গাছের ছায়াঘেরা নির্জন রাস্তা সব বদলে গেল ক্যাসেট প্লেয়ারটা অন হওয়ার খানিকক্ষণ পর থেকেই।
...

ষোলোই অগাস্ট, সাতাশে জানুয়ারি ইত্যাদি দিনগুলোতে কোনো খবর তৈরি হয় না। বাড়ির দরজার সামনে কয়েকটা ভাঁজ করা পাতায় বিশ্বের নিরানব্বইভাগ খারাপ আর একভাগ ভালো খবর নিয়ে কেউ শুয়ে থাকে না আমার তুলে নেওয়ার অপেক্ষায়। সারাদিন মনে হয়, কে যেন আসেনি, কে যেন আসেনি আজ।
...

একা একা শুয়ে আছেন যে বড়ো, যাবেন না? আজ যে উৎসবের দিন!

   গরম বাতাস, পাশে রাখা আধখানা কাটা সুতো, চরকাটা সমুদ্রের হাওয়ায় আপনা থেকে এলোমেলো ঘুরছে। শুয়ে শুয়ে কানে হেডফোনে কি যেন একটা শুনছেন। কপালে ভাঁজ, মুখে চিন্তিত দুষ্টু হাসি। আমায় ইশারায় বললেন
...