Skip to main content

সব জানে সময়

ঢিল পড়ল জলে। টুপ।
ঢেউ উঠল। ঢেউ এসে লাগল পাড়ে। ছলাৎ।

বাতাস উঠল বেগে।
জল উঠল কেঁপে কেঁপে।
সে কাঁপন লাগল পাড়ে এসে। ছলাৎ ছলাৎ।

মাটি উঠল কেঁপে। ভূমিকম্প।
জল উঠল ভীষণ হয়ে।
পাড়ের উপর এসে ধাক্কা খেল জল।
ছলাৎ, ছলাৎ, ছলাৎ।

জলের বুকে আকাশের ছায়া উঠল চঞ্চল হয়ে।

অপেক্ষা

অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন জন্মালো। স্বপ্নেও অপেক্ষা হল না শেষ। এলো না সে। অথচ আসবার কথা দিয়েছিল যেন, স্পষ্টভাবে নয়, ইঙ্গিতে। এমন কতবার হল!

    "অপেক্ষা করার দায় কি শুধু আমার!" - নিজেকে চীৎকার করে বলল সে, নিঃশব্দে। ঠিক করে নিল, আর অপেক্ষা নয়।

ধরো ধরো, সুর ধরো

কোনো অজ্ঞাত কারণ ছিল। কেউ কিচ্ছু জানল না। কারণ কি ছিল, কাকে জিজ্ঞাসা করবে আজ? সে কই?

    কারণ জিজ্ঞাসা করা হয় না। সময় পাওয়া যায় না। সবটুকু সময় তো আমার একার। তোমায় দেব কেন? সবটুকু সময় নিংড়ে নিংড়ে বার করব আমার জীবনের মহাকাব্য। সময়কে ঘাড় ধরে সকাল সন্ধ্যে, গ্রীষ্মবর্ষাশীতবসন্ত আমার ক্ষেতে জোয়াল টানাই। তুমি কে?

তুমি তো

তুমি তো আগন্তুক নও। তবু দেখো, আমি দরজা জানলা এঁটে এমনভাবে রয়েছি যেন তুমি ফিরে যাবে আমায় না পেয়ে খোলা দরজায়। 

তুমি তো অনাহূত নও। তবু দেখো, আমি তোমার থাকার আয়োজন না করে এমন নির্বোধ সেজে আছি, যেন তুমি ফিরে যাবে বিনা আপ্যায়নে। 

বাড়াবাড়ি

    মানুষটা চাইত তার ঘরের দেওয়াল জুড়ে থাকবে হালকা সবুজ একটা রঙ। ঘরের চারদিকে দুটো জানলা থাকবে, গুমোট গন্ধ হবে না ঘরে। সকাল-সন্ধ্যে হালকা একটা ধুপের গন্ধ ঈশ্বরের চরণের মত ধীরে ধীরে পা ফেলে তার এ ঘর সে ঘর ঘুরে যাবে। তার বাথরুমে থাকবে হালকা সাবানের গন্ধ, মেঝে থাকবে শুকনো। খাবার আয়োজন হবে না এলাহি। থাকবে স্বাদ, থাকবে মাত্রামত আয়োজন। খেতে খেতে শব্দ করবে না,

গ্যাসলাইট ভালোবাসা

আমি তোমায় আমার প্রাণঢালা ভালোবাসা দেব। 

তুমি আমায় 
তোমার -
ভালোলাগা-খারাপলাগা, স্বাধীনতাবোধ,
ইচ্ছা-অনিচ্ছা ভাবনা-বিচার-আত্মসম্মান-আত্মবিশ্বাস 

সব দিয়ে দাও।

কারণ?

পার্ফেক্ট

তুমিও জানো আমি পার্ফেক্ট নই। আমিও জানি তুমি পারফেক্ট নও।

    তবু আমি ভয় পাই যদি তুমি পার্ফেক্ট হয়ে থাকো। তুমি ভয় পাও আমি যদি পার্ফেক্ট হয়ে থাকি।

    অগত্যা তর্ক করে আমি আমার ভয় আর তোমার ভান ভাঙাতে চাই।

তোমাকে

কে যেন বলল,

এই যে পাথরটা, সমুদ্রের ঢেউয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে এমন ক্ষীণ হয়ে গেছে, এমন মসৃণ হয়েছে যে জ্যোৎস্নার আলোয় মনে হয় যেন বিশাল এক মণি। 

আমি পাথরটার পাশে বসলাম। সত্যিই জ্যোৎস্না ঠিকরে বেরোচ্ছে ওর গা ফেটে। 

শব্দ সুখ

শব্দ দিয়ে সত্যি কথাও বলা যায়, শব্দ দিয়ে মিথ্যা কথাও বলা যায়।

শব্দ সে কথা বুঝতে পারে। তাই কখনও কখনও একটা শব্দ তার পাশে বসা শব্দকে দেখে লজ্জায় দূরত্ব তৈরি করে। তার পাশে তার বসার কথা ছিল না তো! সে লজ্জা পাবে না! সেই অস্বস্তিকর দূরত্বকে অনুভব করতে পারে মন।

যে যে... সে সে...

যে মানুষটা অনেক কিছু চাইত, কিন্তু অনেক কিছু পারত না, মানে অনেক কিছু পাওয়ার মত সাধ্য ছিল না, সে ঠাকুরকে ডাকত মই বলে, কিম্বা লুকানো সোজা রাস্তা বলে।

Subscribe to গদ্য কবিতা