Skip to main content

দয়া

দরিদ্র রমণী এক, পুত্র সন্তান ক্রোড়ে, আসিলেন জঙ্গলে। রন্ধন উপযোগী শ

শান্তিসৌধ

সংসারে শান্তি রাখতে চেয়েছিল মানুষটা। আজীবন।

এক্কাদোক্কা

অনেকটা রাস্তা ভিড়ে একা একা হেঁটে ফেললাম। শীতের আমেজ।

এমন একা অহংকারী

সাইকেলটা একটু দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে, সে মাঠের মাঝখানে বসে আছে। মুখে খোঁচাখোঁচা দাড়ি। পরে আছে গেরুয়া মোটা গেঞ্জি, আর ঢোলা একটা প্যান্ট। দুটোই ময়লা।

ভুলে গেল

মানুষটা ধীরে ধীরে ভুলে গেল, দস্তুরমত ভুলে গেল,

হারিয়ে

মানুষটা হাতের উপর রাখল জিভ, কান, চোখ, হৃদয় সাজিয়ে। বলল, নাও। আজ থেকে আমি তোমার।

বাবা ম্যাজিক জানতেন

বাবা ম্যাজিক জানতেন। নইলে এত কিছুর পরেও মা সারাজীবন জলের গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন, খাবার বেড়ে দিলেন!

তেঁতুলগোলা জল

মোড়েই বসতো সে। বসতো কোথায়? দাঁড়িয়ে থাকতো। সেই উনিশ বছর থেকে। বাপ মরে গেল টাইফয়েডে। সেই থেকে! এখন তার তিরিশ ছুঁইছুঁই।

পড়োনি বুঝি!

অন্ধকারে আলো জ্বালতে সাহস লাগে। অন্ধকারে আলো জ্বালা তো শুধু নয়, আছে আলোকে বাঁচিয়ে রাখার দায়! 

তাই, আলোর মধ্যে আলো জ্বেলে আছি বসে। নিভে যায় যদি, কেউ জানবে না। নিন্দে হবে না। বিদ্রুপ নেই, রূঢ়কথাও কেউ বলবে না। 

কিন্তু অন্ধকারে নিভে যায় যদি আলো! কি গভীর হবে অন্ধকার আরো! কি ব্যঙ্গ, কি বিদ্রুপ, কি নিন্দা, কি তামাশা! থাক থাক, এত বড় দায় কে নেবে ভাই! 

মাটি আকাশ আর ঘুড়ি

নিজেকে লাটাইয়ের সুতোর মত ছেড়ে দিতে দিতে মানুষটা থমকে দাঁড়ালো। নিজের যেদিকটা অসীমকে ছুঁয়ে আছে, তাকে আর স্পষ্ট নীচ থেকে দেখা যায় না। আর যেদিকটা মাটিতে আটকে আছে সেখানে সুতো নেই পর্যাপ্ত। আর দুইপাক ঘুরলেই সুতো শেষ। শূন্য লাটাই পড়ে থাকবে মাটিতে। এখন কি করবে সে? 
    হঠাৎ ঝড় উঠল। আকাশ ঘিরে এলো দস্যুর মত কালো মেঘ। এক ধাক্কায় আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ল তার অসীম ছোঁয়া আমি মাটিতে। আকাশে ওড়া সুতোতে লাগল কাদা। তার অসীম ছোঁয়া আমিকে স্নান করিয়ে গেল আকাশ ধোয়া বৃষ্টির জল। এবার? 
....
Subscribe to গদ্য কবিতা