Skip to main content

প্রজাপতি চাইল মধু

প্রজাপতি চাইল মধু।
ফুল বলল, নাও।
প্রজাপতি বলল, মূল্য কি দেব?
...

থাপ্পড়

বিছানায় আলকুশি ছড়িয়ে তাকে নিয়ে ছাদে যাও। আকাশের দিকে তাকাতে বলো তাকে। তুমি তার চোখের দিকের তাকাও।
দেখো, সে মুগ্ধ হচ্ছে কিনা? যদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে, জানবে ওর ভিতরে চাপা একটা গরম হাওয়ার মত দুঃখ মিলিয়ে গেল। আকাশ কখনো গরম হয় না। তাই সব গরম হাওয়া টেনে নিতে পারে।

চিল

দরজায় তালা দিয়ে একবার এদিকে এসো। তালাটা টেনে দেখেছো তো? ঠিক আটকানো তো?
ঠাকুরঘরের জানলাটা দেখেছো? ভালো করে ছিটকিনি দিয়েছো?
ছাদের দরজা? পিছনের দরজা?....
    ঘুমের ওষুধটা দাও এবার। কাল রাতেও এটা খেয়ে ঘুম আসেনি। বরং দুটো দাও বা তিনটে।
       হ্যাঁ গো, রাত কটা এখন? আড়াইটে। একবার মেয়েটার ঘরে যাও না। দেখো তো সব ঠিক আছে কি না?

প্রকৃতি


পুকুর পাড়ের ঝোপের নিবিড় যে অন্ধকারটা, আমার খুব চেনা। সামনের বাড়ির ছাদে নারকেল গাছটার পাতার বড় ছায়াটা লুটিয়ে আছে, সেও আমার খুব চেনা। হাল্কা হওয়ায় পুকুরের বুকে যে শিরশিরানো ঢেউ ওঠে, তাদের প্রত্যেক ঢেউটাকে আমি জানি।

ভাঁড়

বেশ রাতে স্টেশানে নামে। বাড়ি ফেরার পথে নেয় একভাঁড় চা রোজ। শক্ত করে আঁকড়ে থাকে গরম চায়ের ভাঁড়। জীবনে বেঁচে তার এই একটাই উষ্ণতা অবশেষে।

প্রাণের প্রাণ

প্রতিটা বাঁকে তুমি একা। প্রতিটা ক্ষতে তুমি মাটির প্রলেপ লাগিয়েছ একা। রক্তগুলো মাটির মধ্যে বানিয়েছে নতুন নতুন নদী। তারাও বয়ে চলেছে একা। তোমার চোখের প্রতি উন্মীলনে জাগে পিপাসা। তোমার চোখের প্রতি নিমীলনে আশ্রিত অপেক্ষা। তুমি জেনে গেছ, সব কুঁড়ি ফুল হয় না। সব ফুলে ফল হয় না। তবু তুমি গোধুলির রঙ গলা নদীতে যখন শেষ স্নান সেরে ওঠো, অস্তগামী সূর্যের কপালে দাও আশিস চুম্বন। তোমার ভেজা শরীরের জলের রেখায় ফোটে

নির্বিষাদ

বিষাদ ছিল। একা ছিল। তার চারপাশে কথা ছিল। কথাগুলো অন্ধকার ছিল। তার চারপাশে হাসি ছিল। হাসিগুলো চাদর ঢাকা ছিল। বিষাদ ছিল।

বন্ধ দরজা

বন্ধ দরজা। স্বপ্নগুলো পায়চারি করছে। দরজার ওপাশে আলো। দরজার এপাশে জায়গা কম। স্বপ্নগুলোর ধাক্কাধাক্কিতে মাথায় ফেট্টি।

লোকটা পানশালায় বসে, ফাটা মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে, স্বপ্নগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
সময় সারাটা দেওয়াল জুড়ে টিকটিকিগুলোর সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে।

 

রাঙিয়ে গেল হৃদয় গগন


আসন্ন সন্ধ্যা। অস্তমিত রবি পশ্চিমাকাশে। চারদিক তপস্বীর মত শান্ত, বিরহীর মত উদাস। ঘর ফেরা পাখির দল ফিরে গেছে খানিক আগে। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে শেষবেলার সূর্যের সোনালী আভা। যেন পুরবী বাজছে বাতাসে বাতাসে। বাতাসের ভেজা আঁচলে যেন কান্নাভেজা সুর। 

অভিসার

সমুদ্রস্নান সেরে সে তীরে বসেছিল। ভেজা কাপড় শুকিয়ে নিচ্ছিল ভাগাভাগি করে, কিছুটা রোদ, কিছুটা হাওয়া। তার চোখের মণিতে যে সাগরের ঢেউ আছাড় খাচ্ছিল, সে সাগরের সাথে তার বুকের সাগরের কোনো মিল নেই, আবার আছেও। তার মনের মধ্যের সমুদ্র বাইরের সমুদ্রের সাথে কথা বলছিল। ভিতরের সমুদ্র কথা করল শুরু।
-তোর এত ঢেউ? কে যোগায়?
-বাতাস, তোর জল এত স্থির কেন?

Subscribe to গদ্য কবিতা