Skip to main content

 

111.jpg

দুটো চার্ট। একটা ভারতের। আরেকটা পাকিস্তানের। পাকিস্তানে মাত্র 8% লোক উর্দুতে কথা বলে, যেখানে 39% লোকের ভাষা পাঞ্জাবি। অথচ তাদের জাতীয় ভাষা উর্দু। এবং তার সঙ্গে অফিসিয়াল কাজে ইংরেজির স্বীকৃতি আছে, তাও পাঞ্জাবির নেই। পড়ছিলাম নিউইয়র্কের একজন পাঞ্জাবি ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথা। তিনি বলছেন, একজন তরুণ ভারতীয় পাঞ্জাবি যদি গাড়িতে ওঠে, সে পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু একজন পাকিস্তানি পাঞ্জাবি যদি ওঠে, বয়েসে তরুণ, সে অনেক সময়েই বলতে পারে না। কারণ সেখানে সে ভাষাকে ধীরে ধীরে ব্রাত্য করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে সেখানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট এটাই। সেখানেও বাংলাকে সরিয়ে উর্দুকে আনার চেষ্টা হয়েছিল রাজভাষা হিসাবে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, পাকিস্তানে হিন্দু বৈবাহিক আইনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আলোচনাই উঠেছে 2016/7 সালে। দেশ গঠন হওয়ার এতদিন পর।

সেখানে ভারতে হিন্দিভাষীর সংখ্যা প্রায় 43%, তারপরেই বাংলা, প্রায় 8%। মারাঠি 6%। তামিল 5%। ভারতের জাতীয় ভাষা নেই, আছে দুটো অফিশিয়াল ভাষা, ইংরেজি আর হিন্দি। আমেরিকাতেও তাই। বর্তমানে মহারাষ্ট্র আর তামিলনাড়ুতে ভাষা নিয়ে আন্দোলন চলছে। হিন্দির আগ্রাসন ইত্যাদি নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। আমি স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কোনো আলোচনাতেই যেতে চাইছি না। কিন্তু গোটা দেশে পাঁচ বা ছয় শতাংশ বলা ভাষা নিয়েও যে প্রায় তেতাল্লিশ শতাংশের একটা ভাষার বিরদ্ধে লড়া যায়, সেটাই আশার কথা। কথাটা সংখ্যার না, কথাটা মর্যাদার। যদি জেনুইনলি আমার মনে হচ্ছে আমার ভাষাকে অন্য কোনো ভাষা দাবিয়ে দিচ্ছে, সে নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আমার অবশ্যই গণতন্ত্রে থাকা দরকার।