Skip to main content

নিজের চিত্তের মাধুর্য

মহালয়ার দিন। গঙ্গার ঘাটে প্রচণ্ড ভিড়। বাবা তর্পণ করতে যাবেন। সঙ্গে আমিও গেছি। কারণ, বাবা স্নানে নামলে কাপড়জামা, চটি পাহারা দিতে হবে। বাবাকে দেখছি আগের দিন রাতে একটা মোটা বই থেকে কি সব লিখছেন। বইটা খুব সম্ভবত 'পুরোহিত দর্পণ'। ঠাকুর্দার বই। বইটার প্রায় নির্বাণ প্রাপ্তির সময় এসে গেছে, এতই ছেঁড়া।

অধরম মধুরম

অধরম মধুরম।
 

    বলা হল মধুর। মাধুর্য। এ কোথায়? যে দেখে না, যা দেখে?

    দর্শন থাক। হৃদয় কি বলে? যা দেখে? না, যে দেখে?

বলতে নেই

- মায়ের নাম কি?
- বলতে নেই
             এখনও মায়ের নাম বলতে দ্বিধা। অবচেতন খটকা। ঠিক হবে কি? এটা বিবেক না। এটা সংস্কার। কুসংস্কার না। ভুল সংস্কার। কারণ বাবা প্রধান। মা দ্বিতীয় অভিভাবক। মায়ের নামে আবার কিসের পরিচয়? বাড়ির নেমপ্লেটে দেখেছি বাবার নাম, তারপর তাদের কৃতী সন্তানদের নাম। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। সে ইদানীং চোখে পড়ে টুকটাক। কিন্তু মায়ের নাম নেই। যদি তিনি তথাকথিত শুধুমাত্র গৃহবধূ হন তবে তো আরো সে নাম থাকার প্রশ্নই আসছে না।

খাঁটি বাস্তব

যে মানুষ অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে পারে না, সে মনের মধ্যে গুমরে মরে। সে তখন একটা খেলায় মাতে। সে প্রতিপক্ষকে কল্পনায় ভেবে নিয়ে তার মুখে কাল্পনিক অপমান বাক্যগুলো তৈরি করে তার উত্তর দেয় মনে মনে। এ এক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ক্রমশ এ খেলা তাকে গ্রাস করে নেয়। সে রাতদিন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করে, এক খণ্ড প্রতিপক্ষকে দেয়, আরেকপক্ষকে নিজের দিকে রাখে। ক্রমশ সে মনে মনে দুর্বল হয়। বুঝতেও

সমালোচক আর সংস্কারক

সমালোচক আর সংস্কারকের মধ্যে পার্থক্য আছে। 

    সমালোচককে পারফেক্ট হতে হয়। তর্ক নিপুণ হতে হয়। তথ্য জাহাজ হতে হয়। 

    সংস্কারকের দায় নেই পার্ফেক্ট হওয়ার। তার জিহ্বা অভিশাপমত্ত নয়। নিন্দায়, কষাঘাতে, তর্কে জিতে তার তৃপ্তি নেই। 

ডিসটোপিয়ান স্বগতোক্তি

শুধু তুমি বা আমি না, সবাই ভাবে এইটাই শেষ সুড়ঙ্গ। এরপর ফাঁকা মাঠ। খোলা হাওয়া, উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রোদ।

    ওই যে যাকে এইমাত্র নিয়ে এলো, গায়ে হরিনামের চাদর জড়ানো, পোড়াবে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করো, ও বলবে ও ভেবেছিল এটাই শেষ সুড়ঙ্গ, মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিল সুড়ঙ্গ শেষ হওয়ার। 

স্বপ্ন সাগর

ক্লান্তিতেই হবে, নইলে হঠাৎ করে বিদ্যাসাগর মশায় এসে ঘুমের মধ্যে ঢুকবেন কেন? যা হোক, ঢুকেই যখন পড়েছেন, সে ঘুমের মধ্যে হলেও, বসতে বলতে হয়। তা তিনি আমার কথা না শুনে সারা ঘরময় ঘুমের মধ্যেই পায়চারি শুরু করে দিলেন। আমি বললাম, ও মশায়, অমন হাঁটেন কেন, একটু বসেন না, দুটো কথা কই?

মুখ দেখাব কি করে

আজ এক খুদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে গল্প করতে করতে বলল, আজকে আমি ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খেয়েছি....জানো তো, আমি যখন স্কুলে যেতাম, তখন মা টিফিনবক্সে আমায় এই বিস্কুটটা মাঝে মাঝেই দিত..

যন্ত্রণার তাগিদ

কথাটা শিবজ্ঞানে জীবসেবা না আত্মজ্ঞানে জীবসেবা? কোনটা বেশি কাছে আসে?

নাস্তিক চলন

ছাত্র হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠালো, স্যার নাস্তিক চলন কি?
প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ালাম। নাস্তিক মানুষের চলন নানাবিধ। কেউ ঈশ্বরকে যুক্তিতে না পেয়ে নাস্তিক। কারোর ঈশ্বরের অস্তিত্বে অস্বস্তি, সে আরেক ধরণের নাস্তিক। আবার কেউ কেউ সিজন, লোকেশান, কমিউনিটি অনুযায়ী কখনও আস্তিক, কখনও নাস্তিক।
Subscribe to চিন্তন